এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ বাংলাদেশের

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ বাংলাদেশের

ছবি: সংগৃহীত

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতল টাইগাররা।

বুধবার গায়ানার প্রভিডেন্স পার্ক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সফরকারীদের সামনে ১০৯ রানের লক্ষ্য দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক উইকেট হারিয়ে ১৭৬ বল হাতে রেখে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে বিশাল জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে টাইগাররা।  

এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বাংলাদেশের স্পিনে নিভ্রান্ত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। নাসুম আহমেদ, মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোসাদ্দেক হোসেনের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। 

উইন্ডিজ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন পেসার তাসকিন আহমেদের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার কাইল মায়ার্স (১৭)। 

এরপর ক্যারিবীয় শিবিরে একেরপর এক আঘাত হানেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। তার স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে মাত্র ৬ রানের ব্যবধানেই ৩ উইকেট হারায় উইন্ডিজ। 

নাসুমের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন শামারা ব্রুকস (৫)। ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসে চতুর্থ বলে ক্যারিবীয় ওপেনার শাই হোপকে সাজঘরে ফেরান তিনি। তার বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ৪ রানে লাইফ পাওয়া শাই হোপ (১৮)। 

এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক নিকোলাস পুরানকেও বোল্ড করে ফেরান নাসুম। তার বিদায়ে ১৭.৬ ওভারে মাত্র ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় উইন্ডিজ। 

এরপর ক্যারিবীয় শিবিরে আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। তার বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রোভম্যান পাওয়েল। ব্রান্ডন কিংকে বোল্ড করে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। আকিল হোসেনকে রান আউট করেন মোস্তাফিজুর রহমান ও নুরুল হাসান সোহান।  

৯ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা রোমারিও সেফার্ডকে বোল্ড করে ফেরান অফ স্পিনার মিরাজ। আলজারি জোসেফকে রানের খাতা খুলতেই দেননি তিনি। উইন্ডিজ শিবিরে শেষ পেরেকটিও মারেন মিরাজ। গুদাকেশ আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে ১০৮ রানে অলআউট উইন্ডিজ। 

বাংলাদেশ দলের হয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ নেন ৪ উইকেট। ৩ করে উইকেট শিকার করেন নাসুম আহমেদ। একটি করে উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন ও শরিফুল ইসলাম।