টাঙ্গাইলে জ্বর- ঠান্ডা করোনার উপসর্গ বাড়ছে

টাঙ্গাইলে জ্বর- ঠান্ডা করোনার উপসর্গ বাড়ছে

ছবি- নিউজজোন বিডি

টাঙ্গাইল  প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের প্রায় প্রতিটি ঘরেই মানুষ জ্বর এবং ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে করে ফার্মেসিগুলোতে নাপা বা  প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধের চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ । বিশেষজ্ঞরা বলছেন- বন্যা এবং প্রচন্ড গরমের কারণে শিশু এবং বৃদ্ধসহ সব শ্রেণীর মানুষ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন । এদিকে হঠাৎ করে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়- শহরাঞ্চল থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলেও ঘরে ঘরে মানুষ জ্বর এবং ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ও শহরের ক্লিনিকগুলোতে বিগত দিনের তুলনায় গত কয়েকদিন ধরে জ্বর এবং ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা প্রচুর বেড়েছে। 

শহরের দেওলা এলাকার আমেনা বেগম বলেন- আমিসহ আমার পরিবারের মোট পাঁচজন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাচ্ছি।

বাসাইল উপজেলা থেকে আসা সুবীর পাল বলেন- আমি দুইদিন যাবত বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। উনার জ্বর ও কাশির পর এখন শ্বাসকষ্ট হচ্ছে ।

 সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের শরিফ উদ্দিন বলেন- আমার ওয়াইফ এবং মেয়ে জ্বরে আক্রান্ত। এখন মোটামুটি একটু ভালোর দিকে। শহরের রেজিস্ট্রিপাড়ার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পাইকারি ওষুধ বিক্রেতা বলেন- মানুষের জ্বর, ঠান্ডা ও কাশি বেড়ে যাওয়ায় এসব ওষুধের বিক্রি অনেক বেড়েছে।  এছাড়া কোম্পানিগুলো দাম বাড়াবে বলে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধের সাপ্লাই বন্ধ রয়েছে। 

টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদানরত ইন্টার্ন চিকিৎসক সানজিদ জাহান সিদ্দিকী বলেন- মাস্ক পড়া, হাত ধোয়া এবং সচেতনতা খুবই জরুরী। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডাক্তার আবুল ফজল মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন-দেশে আবার করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। জ্বর- ঠান্ডা করোনার উপসর্গ। তবে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নাপাসহ বিভিন্ন ওষুধের পর্যাপ্ত মজুদ আছে।