গজল শিল্পী ভূপিন্দর সিংয়ের পরলোকগমন

গজল শিল্পী ভূপিন্দর সিংয়ের পরলোকগমন

গজল শিল্পী ভূপিন্দর সিংয়ের পরলোকগমন

গজল শিল্পী ভূপিন্দর সিং পরলোকগমন করেছেন। তথ্যটি জানিয়েছেন স্ত্রী মিতালি সিং। তার বয়স হয়েছিল ৮২। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, করোনাভাইরাস-পরবর্তী জটিলতা ভুগছিলেন গজল শিল্পী। সম্ভবত কোলন ক্যান্সারেও আক্রান্ত হয়েছিলেন।

ভূপিন্দর সিংয়ের স্ত্রী তথা গায়িকা মিতালি সিং জানিয়েছেন, আট থেকে ১০ দিন আগে গজল শিল্পীকে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার মূত্রে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। ওই পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। সম্ভবত কোলন ক্যান্সারেও ভুগছিলেন। সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রখ্যাত শিল্পী।

ভূপিন্দর সিংয়ের জীবন

১৯৪০ সালে পাঞ্জাবের অমৃতসরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভূপিন্দর সিং। পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে গানের ইন্ডাস্ট্রির অসংখ্য বিখ্যাত লোকের কাজ করেছিলেন। মোহম্মদ রফি, আর ডি বর্মণ, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে এবং বাপ্পি লাহিড়ির মতো শিল্পী তার একাধিক কাজ অবিস্মণীয় হয়ে আছে।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে 'থোড়ি সি জামিন থোড়া আসমান' (সিতারা, লতা মঙ্গেশকরের সাথে গেয়েছিলেন), 'দিল ডুন্ডা হ্যা' (মৌসম), 'নাম গুম জায়েগা'-র (কিনারা) মতো গান গেয়েছিলেন। গায়িকা স্ত্রী'র সাথেও ভূপিন্দর সিংয়ের একাধিক বিখ্যাত গান ছিল। 'দো দিওয়ানে শহর মে', 'নাম গুম জায়েগা', 'এক আকেলা ইস শহর মে', 'কভি কিসি কো মুকাম্মল'-র মতো সুপারহিট গান গেয়েছেন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস