ট্রেনের গতি কমলেই শুরু হয় ছিনতাই

ট্রেনের গতি কমলেই শুরু হয় ছিনতাই

ছবি: সংগৃহীত

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সিরাজগঞ্জ ঈশ্বরদী রেলপথের বাউনঞ্জান ব্রিজ এলাকায় নিয়মিত ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন ট্রেনযাত্রীরা। বাউনঞ্জান ব্রিজটিতে সংস্কারকাজ চলায় সেখানে ট্রেন থেমে ধীরে ব্রিজ পার হওয়ার সুযোগে ঘটছে এ ঘটনা। এলাকাটি নির্জন হওয়ায় নির্বিঘ্নে চলছে ছিনতাই।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতুর পার হওয়ার পর এই উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নে থাকা বাউনঞ্জান রেলব্রিজটি সবচেয়ে বড়। এর দুই পাশে চলবিলের বিশাল অংশ রয়েছে, যা সম্পূর্ণ বন্যার পনিতে তলিয়ে ফাঁকা স্থানের মতো রয়েছে। ব্রিজটি সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে গত বছরে। তখন থেকে ব্রিজ পারাপারের সময় ট্রেন ব্রিজের সামনে সম্পূর্ণ থেমে ধীর গতিতে ব্রিজ পার হয়। এ সুযোগে ব্রিজের দুই পাশে দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের মালামাল ছিনতাই করে আসছে একটি চক্র। বিশেষ করে রাতের ট্রেনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে সবচেয়ে বেশি। 

দুদিন আগে আকাশ কুমার নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছিনতাইয়ের বিষয়ে একটি পোস্ট করা হলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে পড়ে। তিনি লেখেন, ব্রিজ মেরামতের কাজ চলার সময় ট্রেন যখন থামানো হয়; একাধিক লোক ছিনতাই হয়রানির শিকার হয়। গোলাম হাসনাইন রাসেল (ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র) ভাই আপনার কাছে অনুরোধ বিষয়টা দেখবেন। আমি নিজে দেখা, আজ রাতে লালমনি ট্রেন থেকে থামার পর ১০ থেকে ১২ জনের ব্যাগ মোবাইল ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। আমি নিজে দেখেই ভয় পেয়ে গিয়েছি, কি চলছে আমাদের বাওন জান ব্রিজে।

আকাশ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বাড়ি ব্রিজ থেকে এক কিমি দূরে। ব্রিজের কাছে ট্রেন থামলে আমি তিন কিমি দুরের স্টেশন পর্যন্ত না গিয়ে সেখানেই নেমে পড়ি। ইচ্ছে বাকি পথ হেটেই চলে যাবো। তখনি দেখতে পাই ১০-১২ জন লোক দরজার পাশে, জানালার পাশে থাকা লোকদের ব্যাগ মোবাইল ফোন নিয়ে নিচ্ছে। তখন আমি আমার আঞ্চলিক ভাষায় চিৎকার শুরু করলে তারা দ্রুত রেললাইন থেকে নেমে নিচে থাকা স্যালো ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায়। তখনি আমি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করি। এরপর বিভিন্ন দফতর থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানার ওসি মো. হারুন অর রশিদ মৃধা জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট থানা ভাঙ্গুড়ার সঙ্গে কথাও বলেছেন। ওই এলাকায় দূর্গম হওয়ায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। সেখানে টইল পুলিশ আরও বাড়ানো হবে যেন এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।