ভোলায় মৃত্যু বিএনপির লাশের রাজনীতির বলি : তথ্যমন্ত্রী

ভোলায় মৃত্যু বিএনপির লাশের রাজনীতির বলি : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

ভোলায় সাম্প্রতিক সংঘর্ষের ফলে দু'জনের মৃত্যুকে বিএনপির লাশের রাজনীতির বলি বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।  তিনি আজ  সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকরা ভোলায় ছাত্রদল নেতা নিহতের ঘটনায় বিএনপির হরতাল ডাকা নিয়ে প্রশ্ন করলে একথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপির রাজনীতি লাশের ওপরে প্রতিষ্ঠিত, সেই কারণে তারা লাশ সৃষ্টি করতে চায়। আর আগস্ট মাস এলেই তাদের এই প্রবণতা বেড়ে যায়। সেজন্যই ভোলাতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপি। প্রকারান্তরে তাদের মৃত্যুর জন্যও বিএনপি দায়ী।''বিএনপি সারা বাংলাদেশে  এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে লাশ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাবে, মির্জা ফখরুল সাহেবের গত কয়েক দিনের উস্কানিমূলক বক্তব্যে এটিই প্রমাণিত হয়, তবে জনগণ তাদেরকে সেই সুযোগ দেবে না' উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'জিয়াউর রহমান লাশের ওপর পাড়া দিয়েই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিল এবং ক্রমাগতভাবে বহু সেনাসদস্যের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে দেশ পরিচালনা করেছে। ১৯টা ক্যু হয়েছে, শত শত নয় কয়েক হাজার সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনীর অফিসার এবং জওয়ানকে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকেও হত্যা করেছে।' এরপর বেগম খালেদা জিয়াও একইপথ অনুসরণ করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন,  ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে কিভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে লাশ বানিয়ে অঙ্গার করে ফেলেছে, জাতি তা দেখেছে।

ড. হাছান বলেন, 'ভোলায় বিএনপির সমাবেশ থেকে দোকানপাট ভাঙচুর, পুলিশের প্রতি ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও গুলি ছোঁড়া হয়েছে। সেই গুলিতে পুলিশের একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়েছে। তাদের যে দু'জন কর্মী মৃত্যুবরণ করেছে, তার মধ্যে ৩১ জুলাই যিনি মৃত্যুবরণ করেছে, ডাক্তারের রিপোর্ট হচ্ছে তার মৃত্যু হেড ইনজুরিতে অর্থাৎ মাথায় ইট-পাটকেলের আঘাতেই হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। ইট পাটকেল তো বিএনপিই ছুঁড়েছে। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ানোর দায়  বিএনপির।'

চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রকে একটি ঐতিহাসিক বেতার কেন্দ্র উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম পাঠ করা হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধারা চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের ট্রান্সমিটার নিয়েই প্রথম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করা হয়। পরে ভারতের পক্ষ থেকে একটি ট্রান্সমিটার তাদেরকে দেয়া হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হচ্ছে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র। ট্রান্সমিশন যাতে আরো ভালো হয়, সেজন্য সলিমপুরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাতে দেশের বেশিরভাগ জায়গায় চট্টগ্রাম বেতারকেন্দ্র শোনা যায়। 

এসময় বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের পরিচালক এ এস এম আবুল হোসেন, সিনিয়র প্রকৌশলী ভাস্কর দেওয়ান, আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক হীরক খান উপস্থিত ছিলেন।-বাসস