কুবিতে জাতীয় শোক দিবস পালিত কুবি

কুবিতে জাতীয় শোক দিবস পালিত কুবি

কুবিতে জাতীয় শোক দিবস পালিত কুবি

যথাযথ মর্যাদায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বাষির্কী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্ট (সোমবার) সকাল সাড়ে ৯ টায় কালো ব্যাজ ধারণ এবং ৯ টা ৪৫ মিনিটে শোক র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা।

 ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা শেষে প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নং কক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ মোকাদ্দেস-উল-ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন এই দেশের গণমানুষের নেতা। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি তার সারাজীবন ব্যায় করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু একজন ব্যাক্তি নয়, একটি আদর্শ।

 ১৯৭৫ সালে তাকে হত্যার মাধ্যমে তার গড়া আদর্শকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এসময় তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু তার পুরোটা জীবন শোষণহীন এবং অসাম্প্রদায়িক একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে গেছেন। আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং তার চেতনাতেই চলবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। এসময় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করা প্রতিটি বাঙ্গালীর দায়িত্ব এবং কর্তব্য। ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পরও তার খুনি এবং খুনিদের দোসররা এখনো থামেনি।

তারা ২০০৪ সালের এই আগস্ট মাসেই প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার উদ্যেশ্যে তাঁর উপর আবার গ্রেনেড হামলা চালায়। যারা এই বিভিন্ন সময় এই দেশকে পিছিয়ে নিতে কাজ করেছে আজ তাদের মুখোশ উন্মোচন হচ্ছে। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, বাঙ্গালির জাতীয় জীবনে এই দিনটি একটি বেদনাদায়ক দিন। মুজিব একটি আদর্শের নাম। মানব প্রেম, অসীম দৃঢ়তা আর সর্বোচ্চ পর্যায়ের সততাই ছিলো মুজিবের আদর্শ।

অথচ অনেকেই এখন এসব চেতনা লালন না করে নিজেকে পরিচয় দেয় মুজিব সেনা বলে। সারাজীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে নানা কর্মকান্ডে দেখা যায় তিনি কিভাবে বাঙ্গালি জাতিকে ধারণ করেছেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে বাঙ্গালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য তৈরী করেছেন। সেজন্যই দেশের জন্য পাকিস্তানি বাহিনীর রাইফেলের সামনে দাঁড়াতে তাদের বুক একটুও কাঁপে নাই।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী, সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীবৃন্দ।