চীনের সামরিক মহড়া আন্তর্জাতিক সংহতিকে গভীরতর করেছে : তাইওয়ান

চীনের সামরিক মহড়া আন্তর্জাতিক সংহতিকে গভীরতর করেছে : তাইওয়ান

ছবি: সংগৃহীত

তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ শুক্রবার বলেছেন, তাইওয়ানের চারপাশে চীনের বিশাল পরিসরের সামরিক মহড়া মিত্রদের কেবল এই গণতান্ত্রিক দ্বীপদেশটি পরিদর্শন করতে এবং এর প্রতি সংহতি প্রদর্শনের জন্য আরো দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করেছে।

এই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করলে, এর প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং সাগরে ও আকাশে নজিরবিহীন মহড়া চালিয়েছে। বেইজিংয়ের এই প্রতিক্রিয়া কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

পেলোসির সফরের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদরা তিনবার তাইওয়ান সফর করেছেন। সর্বসাম্প্রতিক সফর করেন টেনেসির সিনেটর মার্শা ব্ল্যাকবার্ন। তিনি শুক্রবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

তাইওয়ান চীনের আক্রমণের অবিরত হুমকির মধ্যে রয়েছে। চীন দাবি করে যে, এই স্ব-শাসিত দ্বীপটি তাদের ভৌগলিক এলাকার অংশ এবং প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে হলেও এক দিন তা দখল করা হবে।

তাইওয়ানকে বৈধতা দিতে পারে এমন যেকোনো কূটনৈতিক পদক্ষেপের বিরোধীতা করে বেইজিং। চীন পশ্চিমা কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের এই দ্বীপটি সফরের বিপক্ষে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে।

উ বলেন, চীনের শক্তি প্রদর্শন উল্টো ফল বয়ে আনছে এবং এর ফলে, আন্তর্জাতিক বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আরো বেশি করে তাইওয়ান সফর করবেন।

ব্ল্যাকবার্নের সাথে বৈঠকে সাই বলেছিলেন, এই ধরনের সফর ‘আত্মরক্ষার জন্য তাইওয়ানের সংকল্পকে আরো দৃঢ় করেছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর পরে একটি আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন।

পেলোসির সফরের পর, সিনেটর এড মার্কির নেতৃত্বে কংগ্রেসের আরেকটি প্রতিনিধি দল তাইওয়ান সফর করে। চীন তখনো সামরিক মহড়া চালাচ্ছিল।

এ সপ্তাহের শুরুতে ইন্ডিয়ানা রাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নর এরিক হলকম্ব, ওয়াশিংটন এবং তাইপেইয়ের মধ্যকার আসন্ন বাণিজ্য আলোচনা ঘোষণা করার পরপর তাইওয়ানে যান।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা