পাবনায় ফিল্মি স্টাইলে শিশু অপহরণকালে ৪ জন আটক

পাবনায় ফিল্মি স্টাইলে শিশু অপহরণকালে ৪ জন আটক

ছবি- নিউজজোন বিডি

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনায় ফিল্মি স্টাইলে শিশু অপহরণকালে ৪ জন আটক করেছে পুলিশ। পাবনার সদর উপজেলার আতাইকুলায় প্রকাশ্য দিবালোকে ফিল্মি স্টাইলে গলায় ধারালো অস্ত্র ও মুখে রুমাল বেঁধে ৫ম  শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (৩১ আগস্ট) সকালের দিকে আতাইকুলার দুবলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে এ ঘটনা ঘটে।  মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শিক্ষার্থী বাবলী ফারাতপুর গ্রামের বারেক ফকিরের মেয়ে। সে সদর উপজেলার দুবলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে স্কুল যাচ্ছিল বাবলী। পথে স্কুলের পেছনের দিকে পৌঁছুলে গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে এবং মুখে চেতনানাশক রুমাল দিয়ে জোর করে মোটরসাইকেলে তোলার চেষ্টা করে। এসময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে মেয়েটি তাদের হাত থেকে ছুটে গিয়ে স্কুলের দিকে দৌঁড়ে পালায় এবং স্কুলের ভেতরে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এসময় স্থানীয়রা রেজাউল নামে একজনকে আটক করে পুলিশে খবর  দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রেজাউলকে আটক করে। দুবলিয়া ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সহযোগিদের নাম বলায় তাদেরর আটক করা হয়।

সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সেলিম মোর্শেদ জানান, অজ্ঞান অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরেছে। শারীরিক সমস্যা আপাতত না হলেও মেয়েটি মানসিকভাবে অনেকটা আতঙ্কিত। আমরা তাকে গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণে রেখেছি।

দুবলিয়া ক্যাম্পের পুলিশ ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এরা অপহরণকারী কি-না সেটা এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। শিক্ষার্থী অজ্ঞান অবস্থায় সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে। তার জ্ঞান ফিরলে প্রকৃত ঘটনা জানা সম্ভব হবে।

আটককৃতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে পুলিশ। তবে স্থানীয় ও সংশ্লিষ্টসূত্রে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- পাবনা সদরের টাটিপাড়া এলাকার খুদু খাঁর ছেলে সম্রাট খান (১৮), একই গ্রামের লিয়াকত সরদারের ছেলে সম্রাট (১৯), ভাউডাঙ্গার মৃত জব্বার প্রাং ছেলে রেজাউল প্রাং (৪০) ও তারাবাড়িয়া এলাকার মনছুর আলী (৩৫)।