রাশিয়ার ওপর বাল্টিক দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা

রাশিয়ার ওপর বাল্টিক দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা

রাশিয়ার ওপর বাল্টিক দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা

রাশিয়ার নাগরিকদের ভিসা দেয়া ও দেশে ঢুকতে দেয়া নিয়ে আরো কড়াকড়ি করা হবে বলে জানিয়েছে লাটভিয়া, এস্তোনিয়া ও লিথুয়ানিয়া। এর আগে রাশিয়ার নাগরিকদের ভিসা দেয়ার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

লাটভিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, শেনগেন ভিসা থাকলেও রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে কাউকে বাল্টিক দেশগুলোতে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে অসহায় ব্যক্তি বা পরিবার, ট্রাকচালক ও কূটনীতিকদের যাতায়াত করতে দেয়া হবে।

একই দিন লিথুয়ানিয়ায় একটি কনফারেন্সে যোগ দেন লাটভিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি জানান, গত কিছুদিনে রাশিয়া থেকে সীমান্ত পার করার প্রবণতা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। পরিস্থিতি সামাল দেয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। ফলে এই নিয়ম চালু করা অত্যন্ত জরুরি।

সম্প্রতি ইইউ ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে রাশিয়ার ওপর একই নিষেধাজ্ঞা দেয়। ইইউ-কেই বাল্টিক দেশগুলো অনুসরণ করছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভিসা চুক্তি ছিল। ২০০৭ সালের সেই চুক্তি ভেঙে দিয়েছে ইইউ। ফলে রাশিয়ার নাগরিকদের কাছে শেনগেন ভিসা পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

পুতিনের বক্তব্য

সম্প্রতি ইস্টার্ন ইউরোপিয়ান ফোরামে বক্তৃতার সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, পশ্চিমের নিষেধাজ্ঞার জেরে বেশকিছু ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে ক্ষতি হচ্ছে, তা তিনি স্পষ্ট করে বলেননি।

পশ্চিমা বিশ্বের একহাত নিয়ে পুতিন বলেন, পশ্চিমারা যেভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা অবৈধ ও অনৈতিক। রাশিয়া কখনোই তা মেনে নিতে পারেনি। তবে রাশিয়াও জবাব দেবে।

ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু ছয়মাস হয়ে গেছে। গত কয়েকমাসে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে রাশিয়ার ওপর। এরপর সাম্প্রতিক ভিসা ব্যানের ঘটনা ঘটল।

ক্রাইমিয়া নিয়ে ইউক্রেনের দাবি

ইউক্রেনের সেনা প্রধান এক সংবাদমাধ্যমে লেখেন, ক্রাইমিয়ায় ইউক্রেন আক্রমণ চালিয়েছে। তার লেখায় আরো বলা হয়েছে, ইউক্রেন থেকে মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে ক্রাইমিয়ায়। সেখানে রাশিয়ার সেনাঘাঁটিগুলো ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে।

ইউক্রেন আগে এ বিষয়টি স্বীকার করেনি। ক্রাইমিয়ায় একাধিক বিস্ফোরণ হলেও ইউক্রেন জানায়, এর সাথে তারা যুক্ত নয়। অন্যদিকে রাশিয়া বলেছে, দুর্ঘটনার ফলেই এমনটা হয়েছে। রাশিয়া ওই সময় হুমকি দিয়েছিল, ইউক্রেন আক্রমণ চালালে তারা ফের কিয়েভ আক্রমণ করবে।ক্রাইমিয়ায় রুশ সেনাদের একটি বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণ হয় কিছুদিন আগে। তাতে রাশিয়ার বিপুল ক্ষতি হয়। একজন নিহত হন।

ট্রাস-বাইডেনের কথা

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী প্রথম ফোন করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকে। বুধবার তিনি ফোন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। লিজ ট্রাস ও বাইডেন যৌথভাবে জানান, তারা ইউক্রেনের পাশে আছেন। ট্রাস বলেন, ইউক্রেনকে সব রকম সাহায্য দেয়া হবে।

এর আগে বরিস জনসন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ইউক্রেনের জন্য একাধিক সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন তিনি। পাশাপাশি ইউক্রেনের জন্য বেসামরিক সাহায্যও লাগাতার পাঠিয়ে গেছে যুক্তরাজ্য।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে