ঈমানের সাক্ষী মহান আল্লাহ

ঈমানের সাক্ষী মহান আল্লাহ

প্রতিকী ছবি

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে নিশ্চয়ই তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, ফেরেশতারা এবং জ্ঞানীরাও; আল্লাহ ন্যায়নীতিতে প্রতিষ্ঠিত, তিনি ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই, তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। ’  (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৮)

আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, ‘আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং সাক্ষী হিসেবে তিনিই যথেষ্ট। তিনি সবচেয়ে সত্যবাদী ও ন্যায়পরায়ণ সাক্ষী। ‘তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ’-এই সাক্ষ্য দানকারীদের মধ্যে আল্লাহই সবচেয়ে সত্যবাদী।' (তাফসিরে ইবনে কাসির)

অন্য আয়াতে আল্লাহর সাক্ষ্য দানের পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ সাক্ষ্য দেন তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছেন তার মাধ্যমে। তিনি তা অবতীর্ণ করেছেন নিজ জ্ঞানে এবং ফেরেশতারাও সাক্ষী দেয়। আর সাক্ষী হিসবে আল্লাহই যথেষ্ট। ’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১৬৬)

মহান আল্লাহ যে ঈমানের সাক্ষ্য দিয়েছেন তার স্তর চারটি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। তা হলো—১. একত্ববাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহর জ্ঞান, ২. একত্ববাদের ব্যাপারে আল্লাহর বাক্যদান, ৩. সৃষ্টিজগেক বিষয়টি অবগত করা, ৪. সৃষ্টিজগেক তাওহিদের ওপর ঈমান স্থাপনের নির্দেশ দান। তাওহিদের সাক্ষ্যদানের ক্ষেত্রে আল্লাহ দুটি শ্রেণির কথা উল্লেখ করেছেন। তারা হলো জ্ঞানী মানুষ ও ফেরেশতা। কোনো বিবেচনায় জ্ঞানী মানুষ ও ফেরেশতা আল্লাহর সমকক্ষ না হলেও তাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাদের বিশেষ মর্যাদার প্রতি ইঙ্গিত করতে। সৃষ্টিজগতে এবং সব সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীর দৃষ্টি ফেরেশতা ও জ্ঞানী মানুষের বিশেষ গ্রহণযোগ্য আছে। তা ছাড়া জ্ঞানীরা তাদের জ্ঞানের কারণে এবং ফেরেশতারা আল্লাহর অদৃশ্য জগতের অনেক কিছু অবলোকন করার কারণে আল্লাহর একত্বাবাদের ওপর ঈমান স্থাপন করা তাদের তুলনামূলক সহজ। এ জন্য পবিত্র কোরআনে জ্ঞানীদের ব্যাপারে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর পরিবর্তে তারা যাদেরকে ডাকে, সুপারিশের ক্ষমতা তাদের নেই। তবে যারা সত্য উপলব্ধি করে তার সাক্ষ্য দেয়, তারা ছাড়া। ’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত : ৮৬)

আর ফেরেশতাদের ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং তুমি ফেরেশতাদের দেখতে পাবে যে তারা আরশের চরপার্শে ঘিরে তাদের প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছে। ’ (সুরা ঝুমার, আয়াত : ৭৫)