বন্যার্তদের সহায়তায় পাকিস্তানে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

বন্যার্তদের সহায়তায় পাকিস্তানে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করতে পাকিস্তান সফরে গেছেন বিখ্যাত হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। মঙ্গলবার পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের রাজধানী করাচিতে পৌঁছান তিনি। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউন প্রতিবেদনে অনুসারে, হলিউডের প্রথম শ্রেণীর এই অভিনেত্রী মঙ্গলবার পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বেশ কয়েকটি বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এর মধ্যে দাদু জেলাও রয়েছে। চলমান বন্যায় দাদু জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর একটি। সেখানে তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের কাছ থেকে সরাসরি তাদের চাহিদা এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ভোগ প্রতিরোধের পদক্ষেপ সম্পর্কে শোনেন।

ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির (আইআরসি) একটি বিবৃতির জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী হিসেবে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বিধ্বংসী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করার জন্য পাকিস্তান সফর করছেন। মূলত বন্যা পরিস্থিতি সচক্ষে দেখতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের চাহিদা সরাসরি শুনতে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ভোগ প্রতিরোধের জন্য সম্ভাব্য পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে পাকিস্তান সফর করছেন তিনি।

আইআরসি’র প্রকাশিত এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইতোপূর্বে ২০১০ সালের বন্যা এবং ২০০৫ সালের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে পাকিস্তান সফর করেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। সফরে তিনি আইআরসি’র জরুরি কার্যক্রম এবং আফগান শরণার্থীসহ বাস্তুচ্যুত লোকদের সহায়তাকারী স্থানীয় সংস্থাগুলোও পরিদর্শন করবেন। এসময় অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তাদের জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবেন।

আইআরসি-এর মতে, জোলি প্রথম দেখবেন কীভাবে পাকিস্তানের মতো দেশগুলি এমন একটি সংকটের জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্য পরিশোধ করছে যা তারা সৃষ্টি করেনি।

আইআরসি আরও হাইলাইট করেছে, সংস্থাটি আশা করে যে জোলির সফর এই ইস্যুতে আলোকপাত করবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিশেষ করে যা কার্বন নিঃসরণে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে - জলবায়ু সঙ্কটের ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলিকে কাজ করতে এবং জরুরী সহায়তা প্রদান করতে উদ্বুদ্ধ করবে৷

এরআগে, তুর্কি অভিনেতা সেলাল আল, যিনি বিখ্যাত তুর্কি সিরিজ দিরিলিস-এরতুগ্রুল-এ আবদুর রহমান আল্প চরিত্রে অভিনয় করেছেন, জলবায়ু সংকটের কারণে সৃষ্ট বন্যা ত্রাণ প্রচেষ্টায় যোগ দিতে করাচিতে পৌঁছেছিলেন।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানজুড়ে প্রবল বর্ষণ এবং বন্যায় ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দেশের এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। চলমান এই বন্যায় দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৫৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এছাড়াও বন্যায় হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পাঁচ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।