ঈশ্বরদীতে গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা

ঈশ্বরদীতে গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা

ঈশ্বরদীতে গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় বৃহস্পতিবার ভাড়া বাসায় ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। তার তিন বছরের ছেলে হামিমও নিখোঁজ রয়েছে।

নিহত সোনিয়া খাতুন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার হঠাৎপাড়া এলাকার রুবেল হোসেনের স্ত্রী ও একই এলাকার হামিদপুর গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে।সোনিয়া ঈশ্বরদী ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তার স্বামী রুবেল হোসেন প্রবাসী ছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পশ্চিম টেংরি বাবুপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী রুবেল হোসেন পলাতক রয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরিবন্দ সরকার জানান, সোনিয়ার স্বামী রুবেল হোসেন প্রবাসী। বুধবার রুবেল তার স্ত্রী সোনিয়াকে নিয়ে ঈশ্বরদী শহরে একটি বাসা ভাড়া নেন।

বাড়ির মালিক একরাম আলী বুদু জানান, বুধবার বিকেলে রুবেল হোসেন তার স্ত্রী সোনিয়া খাতুনকে নিয়ে দ্বিতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ঘরের দরজা খোলা দেখে ভেতরে ঢুকে দেখি  সোনিয়ার লাশ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সে সময় তার পরনে ছিল বোরকা। গলা কাটা ও পেটে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

সোনিয়ার চাচাতো বোন নার্গিস আক্তার জানান, বুধবার সোনিয়া তাকে জানান, তার স্বামী রুবেল সৌদি আরব  থেকে এসেছেন। রুবেল আসার পর বুধবার বিকেলে তারা বাবুপাড়ায় একটি বাসা ভাড়া নেয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে কেউ তাকে ফোনে সোনিয়ার মৃত্যুর খবর জানায়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সোনিয়ার স্বামী রুবেল পলাতক রয়েছে। তাকে  গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। লাশ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো  হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রোকনুজ্জামান সরকার জানান, লাশের গলা কাটাসহ একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি। সিআইডি ও পিবিআই সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা মাফিক তাকে হত্যা করা হয়েছে।