শেরপুরে দুই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

শেরপুরের নকলা উপজেলার চরমধুয়া ও শেরপুর পৌর এলাকায় পৃথক জায়গায় দুই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার রাতে লাশদুটি উদ্ধার করে পুলিশ

  নিহতরা হলেন-একজন নকলা উপজেলার চরমধুয়া গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার সোহেল রানার ছেলে বায়েজিদ রানা অরফে তামিম (১৬)। তামিম চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থী। অপরজন শেরপুর পৌর এলাকার চকপাঠক বৌবাজার এলাকার মেহেদি হাসান প্রিন্সের ছেলে ওসমান গনি (৮)। ওসমান মাদ্রাসাছাত্র। 

শনিবার মধ্যরাতের দিকে নকলা উপজেলার চরমধুয়া গ্রামে রানা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পুলিশ বলছে, প্রেমঘটিত বিষয় নিয়েই রানার এই আত্মহত্যা। আর শনিবার বিকেলে ওসমান গনির ঝুলন্ত লাশ মিলে চকপাঠকস্থ নিজ বাসায়। তবে ওসমান গনির আত্মহত্যার বিষয়টি সন্দেহজনক বলে দাবী এলাকাবাসীর।

ওসমানের মা ও মামাদের দাবী, ওসমানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় ওসমানের বাবা প্রিন্স, সৎ মাকে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহম্মেদ বাদল বলেছেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে অনেক কিছু পরিস্কার হবে। তদন্ত চলছে। অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।