রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ঝাপোরিঝিয়ায় নিহত ১২

রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ঝাপোরিঝিয়ায় নিহত ১২

ছবি: সংগৃহীত

‘ঝাপোরিঝিয়াতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাশাপশি চলছে গোলাবর্ষণ।’এক বিবৃত্তিতে রোববার বিষয়টি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।

তিনি আরো জানান, ‘হামলায় ছয় শিশুসহ ৪৯ জন হাসপাতালে ভর্তি।‘

এর আগে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে ১৭ জন নিহত হয়েছে। সিটি কাউন্সিলের সেক্রেটারি কুর্তেভ বলেন, অন্ততপক্ষে ২০টি বাড়ি, ৪০টি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং রাশিয়ার গোলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঝাপোরিঝিয়ার গভর্নর স্তারুখ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের ছবি পোস্ট করে জানান, ‘উদ্ধারকারী দল দেখছে, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আর কেউ বেঁচে আছেন কিনা।’

ঝাপোরিঝিয়া শহর হলো পরমাণু কেন্দ্র থেকে ১২৫ কিলোমিটার দূরে। এখন রাশিয়ার সেনা পরমাণু কেন্দ্র দখল করে আছে।

শনিবার সকালে ক্রিমিয়ান ব্রিজে বিস্ফোরণের পর একটা অংশ ভেঙে পড়ে। ফলে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে শক্তিপ্রয়োগ করে পুতিনের জয় পাওয়ার চেষ্টার ওপর প্রতীকী আঘাত করা হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এরপর থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, রাশিয়া প্রত্যাঘাত করবে।

পুতিন জানান, ক্রিমিয়ান ব্রিজে বিস্ফোরণ একটা সন্ত্রাসবাদী কাজ এবং এর পেছনে ইউক্রেন আছে। তার অভিযোগ, রাশিয়ার বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করার লক্ষ্য নিয়ে এই হামলা করা হয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এর পরিকল্পনা করেছে এবং তারাই বিস্ফোরণের পেছনে আছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির পরামর্শদাতা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এখানে একটাই সন্ত্রাসী দেশ আছে। পুরো বিশ্ব জানে সেই দেশের নাম।’

আলজাজিরা জানায়, দনেস্কের টরস্কে ও অন্য গ্রাম থেকে রাশিয়ার সেনা তড়িঘড়ি পালিয়েছে। এই গ্রামগুলো এখন ইউক্রেনের সেনার অধিকারে। তারাই রাস্তায় পাহাড়া দিচ্ছে। প্রায় জনমানবশূন্য গ্রামে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়ার সেনা বিভিন্ন বাড়ি দখল করেছিল। সেখান থেকে দ্রুত তারা পালিয়েছে। তাদের পোশাক বাড়িতে শুকাতে দেয়া ছিল। রাস্তায় রুশ সেনার অসংখ্য লাশ পড়ে আছে বলে জানানো হয়।

সূত্র : ডয়চে ভেলে