বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ কমিটিতে মিঠুন চক্রবর্তী

বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ কমিটিতে মিঠুন চক্রবর্তী

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কোর কমিটিতে জায়গা পেলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়ে গেরুয়া শিবিরের হয়ে প্রচারেও নেমেছিলেন মিঠুন। তবে তার পরে বেশ কিছু দিন তাকে রাজ্যে দেখা যায়নি। কিন্তু সম্প্রতি তিনি ফের রাজ্য রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। দুর্গাপুজার আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সফরও করেন। এবার তাকে রাজ্য দলের শীর্ষ কমিটিতে রাখালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। সোমবার সন্ধ্যায় নতুন কমিটির তালিকা ঘোষণা করেছেন নড্ডা। তাতে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের সাথে রয়েছে মিঠুনের নামও।

এবার মোট ২৪ জনের কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন নড্ডা। রাজ্য বিজেপির নেতারাই বলছেন, অতীতে এত বড় কোর কমিটি ছিল না পশ্চিমবঙ্গে। নতুন এই কমিটিতে সাবেক রাজ্য সভাপতি হিসেবে যেমন রাহুল সিংহ রয়েছেন তেমনই নতুন করে এসেছেন তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর এবং জন বার্লা। রাজ্যের নেতা হিসেবে আগের কমিটিতেও ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। এবারো তিনি রয়েছেন। রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী।

তবে রাজ্য সংগঠনে যে দিলীপের প্রয়োজন রয়েছে তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন নড্ডা। কমিটির প্রথম দু’টি নাম সুকান্ত এবং শুভেন্দু হলেও এর পরেই রয়েছে দিলীপের নাম। কমিটিতে রয়েছেন স্বপন দাশগুপ্ত, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথমবার বিজেপির এমন কমিটিতে জায়গা পেলেন বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা। এ ছাড়া আর দু’জন বিধায়কই রয়েছেন কোর কমিটিতে। অগ্নিমিত্রা পাল ও দীপক বর্মন। যদিও এরা দু’জনেই রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। সেই হিসেবেই তারা রয়েছেন কোর কমিটিতে। বাকি তিন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এমপি লকেট চট্টোপাধ্যায়, এমপি জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো এবং জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ও রয়েছেন কোর কমিটিতে। রয়েছেন রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী এবং তার সহকারী সতীশ ধন্ড।

২৪ জনের কমিটিতে ২০ জন সাধারণ সদস্য এবং চারজনকে বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে রাখা হয়েছে। তারা হলেন বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে এবং দুই সহকারী পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয় এবং আশা লাকরা।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা