ডলারের অভাব নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডলারের অভাব নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে সরবরাহ শৃঙ্খল ও আর্থিক লেনদেনে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায় জ্বালানি সংকট এখন বৈশ্বিক সংকট। বাংলাদেশ শিগগিরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবে এবং জ্বালানির প্রাপ্যতা থাকবে। দেশের কল্যাণে যা যা করা দরকার আমরা তাই করব। দেশে ডলারের কোনো সঙ্কট নেই।’

মঙ্গলবার বুয়েটের খেলার মাঠে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগদানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, সরকার বেশ কয়েকটি বন্ধুপ্রতিম দেশের সাথে সফল আলোচনার মাধ্যমে জ্বালানি সরবরাহের জন্য তার উৎসের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে। আমাদের আগে সীমিত উৎস ছিল। এখন আমরা সোর্সের উৎস বাড়িয়েছি। আমরা এটি খুব সফলভাবে করেছি।

মন্ত্রী কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মন্ত্রীদের সাথে তার সফল আলোচনার কথা উল্লেখ করেছেন, যেখানে প্রচুর তেল মজুদ রয়েছে।

মোমেন বলেন, ব্রুনাই, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোও বাংলাদেশে গ্যাস সরবরাহ করতে ইচ্ছুক।

তিনি বলেন, ‘এমনকি, বাংলাদেশ কোনো সংকটের সম্মুখীন হলে চীন জ্বালানি সরবরাহ করতে ইচ্ছুক। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আরো জাতি আসছে।’

সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের জন্য আমদানি বিল হিসেবে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (এসিইউ) ১ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার পর এবং এলসি দায় মেটানোর জন্য ১৩১ মিলিয়ন ডলার খরচ করার পর ৭ নভেম্বর শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

মোমেন বলেন, ‘২০০১-২০০৬ মেয়াদে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারে উঠানামা করতো।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার কোনো অভাব নেই। কয়েক মাসের আমদানির জন্য এটি যথেষ্ট অর্থ।’

মোমেন বলেন, এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) ইস্যু বন্ধ করার কোনো কারণ নেই, বরং সরকার ইনভয়েসিং চেক করার ব্যবস্থা নিচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এটা চেক করা দরকার। তাদের সমস্ত নথি পরীক্ষা করা বা পুনঃপরীক্ষা করা উচিত। এটা মোটেও খারাপ নয়।’

সূত্র : ইউএনবি