আসিয়ান সম্মেলনের আলোচ্যসূচির শীর্ষে মিয়ানমার ইস্যু

আসিয়ান সম্মেলনের আলোচ্যসূচির শীর্ষে মিয়ানমার ইস্যু

আসিয়ান সম্মেলনের আলোচ্যসূচির শীর্ষে মিয়ানমার ইস্যু

দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় নেতারা বৃহস্পতিবার কম্বোডিয়ার রাজধানীতে মিলিত হবেন। মিয়ানমারের সামরিক নেতৃত্বাধীন সরকার এই গোষ্ঠীর শান্তি পরিকল্পনা মেনে চলার কোনো লক্ষণ না থাকায়, দেশটির ক্রমবর্ধমান সহিংসতা হ্রাসের চেষ্টায় প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নম পেনে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর অ্যাসোসিয়েশন আসিয়ানের শীর্ষ সম্মেলন বক্তব্য রাখবেন। ওয়াশিংটন এবং বেইজিং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে চেষ্টা করছে। এরপরই ইন্দোনেশিয়ার বালিতে গ্রুপ অফ ২০ বৈঠকের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন এবং ব্যাংককে এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন ফোরামকেও এতে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে আশা করা হচ্ছে।

মিয়ানমার ইস্যু ছাড়াও চার দিনব্যাপী এই বৈঠকে, দক্ষিণ চীন সাগরে চলমান বিরোধ, মহামারী পুনরুদ্ধার, আঞ্চলিক বাণিজ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শি বা পুতিন কেউই আসিয়ান আলোচনা বা সমান্তরাল পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ না দিলেও, চীন ও রাশিয়া উভয়ই প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরফের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠাতে পারে ।

শীর্ষ সম্মেলনের আগে, পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্ক বলেন, এই আলোচনার মাধ্যেমে ‘এই অঞ্চলজুড়ে কূটনৈতিক অগ্রাধিকারগুলোর বিস্তৃত পরিসর’ নিয়ে কাজ করার সুযোগ হবে এবং ‘আরেকটি দীর্ঘ নতুন উদ্যোগের তালিকা নিয়ে এগিয়ে আসার পরিবর্তে আমরা যা কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা বাস্তবায়নের দিকে মনোনিবেশ করার’ ক্ষেত্র তৈরি হবে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির সেনাবাহিনী অং সান সু চি-র নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করার পরপরই আসিয়ান (মিয়ানমার-ও এর সদস্য) এখানে শান্তি প্রতিষ্ঠাতে ভূমিকা পালনের চেষ্টা করছে।

এর আগে আসিয়ানের দূত কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রক সোখোনকে মিয়ানমার সরকার দেশটিতে সফরের অনুমতি দিলেও সু চি-র সাথে দেখা করার অনুমতি দিতে অস্বীকার করে।জবাবে, আসিয়ান মিয়ানমারের নেতাদের তাদের আনুষ্ঠানিক বৈঠকে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়নি। জবাবে, মিয়ানমার এই সম্মেলনে অ-রাজনৈতিক প্রতিনিধি পাঠানোর প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছে।

সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা