বাংলাদেশে যক্ষ্মায় দিনে ১২৯ জনের মৃত্যু

বাংলাদেশে  যক্ষ্মায় দিনে ১২৯ জনের মৃত্যু

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন ১২৯ জন মৃত্যুবরণ করেন। এ সংক্রান্ত সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পৃথিবীর যক্ষ্মাপ্রবণ ৩০ দেশের অন্যতম। দেশে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৭ হাজার যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি লাখে ২২১ জন যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগী রয়েছে। প্রতি মাসে আরও নতুন করে ৫ হাজার ৯০০ জনকে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে বুধবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম।

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক যৌথভাবে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মেডিকেল অফিসার নাজিস আরেফিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ব্র্যাকের টিবি কন্ট্রোল কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক ডা. মাহফুজা রিফাত।

অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, এখন আমাদের রোগ প্রতিরোধে আরও বেশি কাজ করতে হবে। এজন্য প্রচারণা বাড়ানো ও সচেতনতা সৃষ্টিতে আরও কাজ করতে হবে। তবে তার আগে দরকার সংশ্লিষ্ট সবার জোরালো প্রতিশ্রুতি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এমএ ফয়েজ বলেন, নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করলে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অসম্ভব হবে না। তিনি যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে ওষুধের গুণগত মান ও সঠিক শনাক্তকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ২ লাখ ৯২ হাজার ৯৪২ জন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে। শিশু যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৩৫০ জন। ২০১৯ সালে প্রতি হাজারে আনুমানিক ৫ দশমিক ৯ জন এমডি আর টিবি শনাক্ত হয়েছে।

টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শামীম আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান, ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিজেস ও ওয়াশ কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম, কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, গাজী টিভির এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ, অভিনেত্রী ত্রপা মজুমদার, সুমাইয়া শিমু, নৃত্যশিল্পী মুনমুন আহমেদ, জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, নাট্য পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী প্রমুখ।