মঠবাড়িয়ায় জাল ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ির ছড়াছড়ি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

মঠবাড়িয়ায় জাল ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ির ছড়াছড়ি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

সংগৃহীত

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জাল ব্যান্ডরোল যুক্ত অবৈধ বিড়ির ছড়াছড়ি । এতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমানের রাজস্ব। নিজস্ব কারখানায় তৈরী করে অবৈধ ব্যান্ডরোল বা ট্যাক্স স্ট্যাম্প ব্যবহার করে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়িরা মঠবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারের পাইকারি দোকানে এসব বিড়ি বিক্রি করে। এ দোকানগুলো থেকে প্রত্যন্তাঞ্চলের খুচরা দোকানীরা কিনে নিয়ে জনে-জনে বিক্রি করেন।

নাম প্রকাশ না শর্তে স্বনামধন্য একটি কোম্পানীর কর্মকর্তারা জানান, এক প্যাকেট বিড়ি (১৫ টি) এর প্যাকেটের গায়ে বিশেষ সরকারি স্টিকার লাগানো হয়। সরকার রাজস্ব হিসেবে তার মূল্য নেন ৯ টাকা ৩০ পয়সা। বিড়ি তৈরি ও বাজারজাত করন ভ্যাটসহ সব ধরনের ব্যান্ডের বিড়ি প্রতি প্যাকেট পাইকারি দোকানে বিক্রি হয় ১৭ বা ১৮ টাকায়।

এদিকে “ফাইটার বিড়ি” নামে একটি ব্যান্ডরোল বা নকল স্টিকার যুক্ত সরকারি লোগো লাগিয়ে বিড়ি মঠবাড়িয়ার বাজারে বিক্রি করে আসছে কিছু অসাধু ব্যবসায়িরা। তারা প্রতি প্যাকেট (২৫ টি) পাইকারি বাজারে বিক্রি করে ৭ বা ৮ টাকা। গত ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ৫৬ হাজার “ফাইটার বিড়ি” সহ ২ ব্যক্তিকে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের মাধ্যমে আটককৃত বিক্রয় প্রতিনিধি মজিবর রহমান (৫৫) ও গাড়ি চালক সোহেল (৩৫) সহ আটককৃত ৫৬ হাজার বিড়ি থানা হেফাজতে নেন। কিন্তু রহস্য জনক কারনে থানা পুলিশ আটককৃতদের মোবাইল কোর্টে হাজির না করে গভীর রাতে কোন আইনী পদক্ষেপ গ্রহন না করে ছেড়ে দেন।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার ওসি, মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সঠিক কাগজ-পত্র পরে দেখাবে এমন কথার ওপর তাদের জিম্ময় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে বিড়িগুলো থানায় জমা রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঊর্মি ভৌমিক এর মুঠোফোনে একাধিক কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।