জাপানকে হারিয়ে জয় পেয়েছে কোস্টারিকা

জাপানকে হারিয়ে জয় পেয়েছে কোস্টারিকা

জাপানকে হারিয়ে জয় পেয়েছে কোস্টারিকা

জাপানের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পেয়েছে কোস্টারিকা। আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে ‘ই’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল জাপান ও কোস্টারিকা। বিশ্বকাপে এই প্রথম একে অন্যের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলেছে জাপান ও কোস্টারিকা। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহুর্তে এসে কোস্টারিকার একমাত্র অন টার্গেট শটটিতে গোল করেন কেইশার ফুলার। আর তাতেই ম্যাচ হাতছাড়া হয় সামুরাই ব্লুদের।

সব দিকেই এগিয়ে ছিল এশিয়ার দলটা। আধিপত্য বিস্তার করেই খেলেছে পুরো সময়। জার্মানিকে হারিয়ে যেই আত্মবিশ্বাস বাসা বেঁধেছিল জাপানের মাঝে। আজ কোস্টারিকার বিপক্ষে তারই যেন প্রদর্শনী চললো। তবে গোলের খেলা যেখানে ফুটবল, সেই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখাই পেলো না দলটি।

প্রায় ৬০ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখলেই রেখেছে জাপান। উপহার দিয়েছেন নান্দনিক পাসিং ফুটবল। ১৩ বার গোলের সুযোগও তৈরি করেছিল দলটি, যা কোস্টারিকা থেলে তিনগুণেরও বেশি।
অন টার্গেট শটও ছিল তিনটি। কর্নারও আদায় করে নিয়েছিল ৫টি। তবে গোল ভাগ্যেই বিধাতা সায় দেয়নি। সায় দিয়েছিল কোস্টারিকার পক্ষে। তাদের একমাত্র অন টার্গেট শটই গোলে পরিণত হয়। ফলে জাপানের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পেয়েছে কোস্টারিকা।

ম্যাচের শুরু থেকেই মাঝমাঠে বল ধরে রেখে খেলেছে জাপান। শুরুতেই চাপে পড়ে যাওয়া কোস্টারিকার খেলা গুছিয়ে আনতেও বেশ সময় লেগেছে। ম্যাচের ৩ মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল জাপান। কিন্তু রিতসু দোয়ানের নেয়া শট বাম পাশ দিয়ে চলে গেলে বেঁচে যায় কোস্টারিকা। ২৩ মিনিটের মাথায় কোস্টারিয়ান খেলোয়াড় কন্ট্রেরাস বল নিয়ে জাপানের ডিফেন্সে ঢুকে গেলেও তার শট ক্লিয়ার করেন জাপানিজ ডিফেন্ডাররা। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে দুই দুইবার গোলের সুযোগ পেয়েছিল কোস্টারিকা। কিন্তু প্রথমে ফ্রান্সিসকো কালভো ও পরে জোয়েল ক্যাম্পবেল দু‘জনকেই থামিয়ে দেন জাপানিজ গোলকিপার সুইচি গোন্ডা।

প্রথমার্ধে বেশ ধীমেতালে খেলছে দু‘দলই। দু‘দলের কেউই তেমন শট নেয়ার চেষ্টাই করেনি। জাপান গোলপোস্ট বরাবর ৩টি ও কোস্টারিকা ৩টি শট নিলেও কোনো দলই অন টার্গেটে কোনো শট নিতে পারেনি। দু‘দলের কেউই কারো অর্ধে অন টার্গেট শট নিতে পারেনি। এবারের বিশ্বকাপে এই প্রথমবারের মত এমন ঘটনা ঘটল।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আক্রমণে যায় জাপান। আসানোর থ্রু বলে ম্যাচের প্রথম অন টার্গেট শট নেন মোরিতা। কেইলর নাভাস দ্রুত রিফ্লেক্স দেখিয়ে শটটি সেইভ করেন।

৫৭ মিনিট সময়ে লেফট ফ্ল্যাংক ধরে এগিয়ে গিয়ে গোলের সুযোগ তৈরি করেন সোমা। কিন্তু তার নেয়া শটটি চলে যায় বারের ডানদিক দিয়ে। ৬৩ মিনিটের মাথায় জাপান একটি ফ্রি কিক পেলে সেখান থেকেও গোল করার আরেকটি সুযোগ মিস করেন তিনি।

জাপান দুবার সুযোগ মিস করলেও মিস করেনি কোস্টারিকা। খেলার নির্ধারিত সময়ের শেষদিকে ঠিক ৮১ মিনিটের মাথায় ম্যাচের প্রথম এবং একমাত্র অন টার্গেট শট থেকে গোল করেন কোস্টারিকা রাইটব্যাক কেইশার ফুলার। জাপানের খেলোয়াড়দের পা থেকে বল নিয়ে দৌড়াতে শুরু করেন ইগনাশিও তেজেদা। তার কাছ থেকে বলটি রিসিভ করে গোলবার বরাবর শট নেন ফুলার। গোন্দার আঙুল ফসকে জালে জড়ায় বল। ৮৮ মিনিটের মাথায় মিতোমা এবং কামাডোর যৌথ প্রচেষ্টায় একটি গোলের সম্ভাবনা তৈরি হলেও গোল লাইনের খুব কাছে এসে বল গ্লাভসবন্দি করে কোস্টারিকাকে বাঁচিয়ে দেন নাভাস।

জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে নক আউটের সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছিল জাপান। অন্যদিকে ৭-০ গোলে স্পেনের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল কোস্টারিকা। আজ কোস্টারিকার জয়ের ফলে ই গ্রুপ থেকে নক আউটে যাওয়ার সমীকরণ আরো জটিল হয়ে উঠল দলগুলোর জন্য।