ফ্রান্সকে হারিয়ে দিল তিউনিসিয়া

ফ্রান্সকে হারিয়ে দিল তিউনিসিয়া

সংগৃহীত

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের ম্যাচে আজ মাঠে নামে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। প্রতিপক্ষ ছিল তিউনিসিয়া। ম্যাচে ওয়াহবি খাজরির গোলে ফ্রান্সকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে তিউনিসিয়া। ফ্রান্সকে হারিয়েও অবশ্য শেষ ষোলতে যাওয়া হলো না তিউনিসিয়ার। ডেনমার্কের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া জয় পাওয়ায় শেষ হয়ে গেল আফ্রিকান দেশটির কাতার বিশ্বকাপ অধ্যায়।

বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পরের রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো আগেই। আজ ড্র করলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে ফ্রান্স। অন্যদিকে তিউনিসিয়ার বিদায় প্রায়ই নিশ্চিতই হয়ে গেছে। ফলে সের একাদশের ৯ জনকেই বিশ্রামে রেখেছিলেন ফ্রেঞ্চ কোচ দিদিয়ের দেশম। আর দলও ছিলো বেশ নির্ভার।

নির্ভার ফ্রান্স দলকে প্রথম থেকেই চেপে ধরে তিউনিসিয়া। ম্যাচের ৮ মিনিটেই ফ্রান্সের পোস্টে বল ঢুকান তিউনিসিয়ার ঘান্দ্রি। কিন্তু অফসাইডের ফ্ল্যাগ দেখানো হলে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। ম্যাচের ১৭ মিনিটে আবারো সুযোগ পায় তিউনিসিয়া। ফ্রান্স বল হারালে গোলের সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে তিউনিসিয়া। কিন্তু বেন রমধানে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।

ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলো ফ্রান্সও। ম্যাচের ২৫ মিনিটে বল বক্সে পেয়েও উইঙ্গার কোম্যান তাকে কাজে লাগাতে পারেননি। প্রথমার্ধের বাকি পুরো সময় বেশ কয়েকবার চান্স ক্রিয়েট করে তিউনিসিয়া। তবে ফ্রেঞ্চ গোলকিপার স্টিভ মান্দান্দার কল্যাণে গোল হজম করেনি ফ্রান্স।প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ড্র তে।


দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও আবারো আক্রমণ করতে থাকে তিউনিসিয়া। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে ওয়াহবি খাজরির গোলে লিড পায় তিউনিসিয়া। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ১-০ তে। লিড নিয়েও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখে তিউনিসিয়া। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে শট নেওয়ার সুযোগ পায় ফ্রান্স। এরপর ম্যাচের ৭৯ মিনিটে ডেম্বেলে ক্রস থেকেগোল দেওয়ার চেষ্টা করলেও সুবিধা করতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচের শেষ ১০ মিনিট গোল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে ফ্রান্স। ম্যাচের ৮২ মিনিটে কর্ণার থেকে গ্রিজম্যান ও ডেম্বেলে গোল দেওয়ার চেষ্টা করেন,কিন্তু তিউনিসিয়ার গোলকিপার দাহমেনের কৃতিত্বে সমতায় ফিরতে পারেনি ফ্রান্স।

এরপর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে এন্টনিও গ্রিজম্যান গোল করলেও অফসাইডের ফাঁদে পড়ে তা বাতিল হয়ে যায়। ফলে ১-০ ব্যবধানের পরাজয় নিয়েই গ্রুপ পর্ব শেষ করতে হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
তবে এই ম্যাচ হেরেও ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ডি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। সমান ম্যাচ খেলে রানারআপ হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।