২০ দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা

২০ দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা

ছবি:সংগৃহীত

ভারতসহ বিশ্বের ২০ দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি জার্মানির এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষায় এই চাঞ্চল্যকর তথ্য ধরা পড়েছে। সমীক্ষায় সংক্রমণ সূচকের একদম ওপরে আছে থাইল্যান্ড, জাপান এবং সাউথ কোরিয়া।

সমীক্ষায় আকাশপথের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগাযোগের বিষয়টি পর্যালোচনা করেছিল। মোট ৪ হাজার বিমানবন্দরের সঙ্গে চিনের সরাসরি যোগাযোগ আছে, এমন একটা মাপকাঠি তৈরি করেছিল ওই বিশ্ববিদ্যালয়। সেই মাপকাঠির সূচকের নিরিখে ভারতের সংক্রমণ শঙ্কা ০.২১৯%। সেই সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংক্রমণের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। সেই বিমানবন্দরের সংক্রমণ সূচক ০.০৬৬%। মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংক্রমণ সূচক ০.০৩৪%। এর পরেই আছে কলকাতা বিমানবন্দরের নাম। পাশাপাশি বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও কোচি বিমানবন্দরেও আছে সংক্রমণ আশঙ্কা। এমনটাই দাবি ওই সমীক্ষার।

চিন থেকে একজনের গন্তব্যের নিরিখে ভারত ও অন্য শহরের প্রেক্ষিত কী, সেটাও মাপকাঠি হিসেবে ধরা হয়েছে ওই সমীক্ষায়। সেই সমীক্ষা আরও দাবি করেছে, আকাশপথে যাতায়াতের প্রেক্ষিত বিচার করে পর্যালোচনা করা হয়েছে সংক্রমণের মাত্রা। ব্যস্ত বিমানবন্দর ও সংক্রামিত যাত্রীর পরিসংখ্যান রাখা হয়েছে বিচার্য হিসেবে।

সংক্রমণ আটকাতে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক বৈধ ভিসা থাকলেও চিন থেকে ভারতে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। চিনা নাগরিক বা পর্যটক, সে দেশ থেকে ভারতে আসার ওপর চলছে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা। ইতিমধ্যে কেরলের তিনজন করোনা আক্রান্তের প্রমাণ মিলেছে। ওই ৩ জনই পড়ুয়া এবং উহান শহরে থাকতেন।

পাশাপাশি সতর্কতা অবলম্বনে ওই রাজ্য প্রায় ২ হাজার জনকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রেখেছে সরকার। জানুয়ারি মাসে এক সপ্তাহের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার দুটি বিমান প্রায় ৬০০ জন ভারতীয়কে চিন থেকে দেশে ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক দিলি-হরিয়ানা সীমান্তের মানেসারে তৈরি করেছে বিশেষ পর্যবেক্ষণ শিবির। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যার নাম দিয়েছে কোয়ারান্টাইন ক্যাম্প। সেই পর্যবেক্ষণ শিবিরে দু'সপ্তাহের জন্য পৃথক ভাবে রাখা হয়েছে সন্দেহভাজনদের।