মুক্তিপণ দিয়েই ফিরলেন টেকনাফের অপহৃত ৮ জন

মুক্তিপণ দিয়েই ফিরলেন টেকনাফের অপহৃত ৮ জন

মুক্তিপণ দিয়েই ফিরলেন টেকনাফের অপহৃত ৮ জন

অপহরণের চার দিন পর মুক্তিপণ দিয়েই ফিরলেন টেকনাফ থেকে অপহৃত শিক্ষার্থীসহ আটজন।বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে জনপ্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণ মুক্তিপণ পরিশোধের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।এর আগে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তবে কত টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে এ বিষয়ে মুখ খুলেনি না ভুক্তভোগীদের পরিবার। অপহৃত সেলিমের বড় ভাই আকতার হোসেন জানান, শুরু থেকেই জনপ্রতি তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছিলেন অপহরণকারীরা। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পাহাড়ে তল্লাশি চালানোয় এবং সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে অপহৃতদের ওপর নির্যাতন চালায় দুর্বৃত্তরা। এর মাঝেও তাদের সাথে দেন-দরবার চলছিল।

জানা গেছে, তাদের চাহিদা মতো টাকা দেয়ার কথা নিশ্চিত করার পর বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে অপহৃতদের নিয়ে জাহাজপুরা গর্জন বাগানের কাছাকাছি আসেন অপহরণকারীরা। সেখানেই ভুক্তভোগীদের পরিবার টাকা হস্তান্তর করার পর অপহৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়।টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম বলেন, অপহৃতরা এলাকায় এসেছে জানার পরপরই তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

অপহরণের শিকার ভিকটিমদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, তাদের পাহাড়িছড়ার ভেতর বেঁধে রাখা হয়েছিল। বিভিন্ন সময় তাদের শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে। টাকা পরিশোধের বিষয়টি অবগত নন বলে জানিয়েছেন ওসি।

এদিকে, ওই আটজনকে অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অপহৃত কলিমুল্লাহর ভাই হাবিবউল্লাহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি করেছেন। এ ঘটনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি আবদুল হালিম।এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড জাহাজপুড়া পাহাড়ের ভেতর পানির ছড়া থেকে তাদেরকে অপহরণ করা হয়।