পাবনায় আন্ত:জেলা ডাকাত ও চোরচক্রের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার

পাবনায় আন্ত:জেলা ডাকাত ও চোরচক্রের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার

পাবনায় আন্ত:জেলা ডাকাত ও চোরচক্রের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার

পাবনার ঈশ্বরদীতে স্বর্ণের দোকানে চুরির ঘটনায় আন্ত:জেলা চোর ও ডাকাতচক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় চোরাই সোনা, রুপা ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনশী।

পুলিশ সুপার জানান, গত ২৯ নভেম্বর রাতে ঈশ্বরদী উপজেলার আওতাপাড়া বাজারে মল্লিকা জুয়েলার্সে নামের এক স্বর্ণের দোকানে চুরি সংঘটিত হয়। চোরের দল ওই স্বর্ণেও দোকানের পাশে অবস্থিত কাপড়ের দোকানের ভেতর ঢুকে পাশের ওয়াল ছিদ্র করে স্বর্ণেও দোকানে প্রবেশ করে চুরি সংঘটিত করে।

এ ঘটনায় ৩ ডিসেম্বর ঈশ্বরদী থানায় মামলার পর অভিযানে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় টানা তিনদিন অভিযান চালিয়ে রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, বাগেরহাট, নাটোর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চোর ও ডাকাতচক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অভিযানে তাদের কাছ থেকে চোরাইকৃত ছয় ভরি ৫ আনা সোনা, ৫০ ভরি রুপা, স্বর্ণ বিক্রির ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকাসহ চুরির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরন্জাম জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার মধ্য খোন্তাকাটা গ্রামের ডাকাত সর্দার শহিদুল হাওলাদার (৪৯), একইগ্রামের আব্দুল মালেক (৪০), বাবুল হাওলাদার ওরফে ভারানী বাবুল (৫২), বাবুল হাওলাদা ওরফে বোকদা বাবুল (৫০), নাটোর সদর উপজেলার পারখোলাবাড়িয়া গ্রামের সাঈদ আলী (৫৭), একই উপজেলার হৈবতপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন (৩৭), বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মোরশেদ সড়ক শেহলাবুনিয়া গ্রামের রুস্তম আলী শেখ (৬০), শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর গ্রামের শান্ত মিস্ত্রি (২০) ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের বাবুল কুলু (৫৩)।

এদের মধ্যে ডাকাত সর্দার শহিদুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চুরি, ছিনতাইসহ ১০টি, মালেকের বিরুদ্ধে ৭টি, ভারানী বাবুলের বিরুদ্ধে ১০টি, বোকদা বাবুলের বিরুদ্ধে ৮টি, সাঈদের বিরুদ্ধে ৩টি, জালালের বিরুদ্ধে ৩টি, রুস্তমের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ও গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা  একটি সংঘবদ্ধ আন্তজেলা ডাকাত ও চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা সাধারনত কোন এলাকায় চুরি সংঘঠনের আগে  সেই এলাকায় অবস্থান করে পরিকল্পনা মাফিক চুরি করে এলাকা ত্যাগ করে। স্থানীয় কারো সাথে তাদের যোগাযোগও থাকেনা। তারা মুলতঃ দেশের বিভিন্ন এলাকার স্বর্ণের দোকান চুরি-ডাকাতি করে। তাদের অপরাধের ধরণ প্রায় একই।