সালামে বাড়ে ভালোবাসা

সালামে বাড়ে ভালোবাসা

সালামে বাড়ে ভালোবাসা

সালাম আরবি শব্দ। সালামের অর্থ হচ্ছে- শান্তিদাতা। আমাদের সবার মাথার ওপর একজন মালিক আছেন। যিনি প্রতি মুহূর্তে শান্তি বর্ষণ করে চলেছেন আমাদের ওপর। আমরা কখনো টের পাই, কখনো পাই না। অথবা পেলেও এ নিয়ে কেউ মাথা ঘামাই না।

সালামের পূর্ণরূপ : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আমরা সাধারণত বলি, আসসালামু আলাইকুম। অর্থ- আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। জবাবে বলি, ওয়া আলাইকুমুস সালাম। অর্থ- আপনার ওপরও শান্তি বর্ষিত হোক। সালাম একধরনের আদব, যা ছোট-বড় সবার পালন করা কর্তব্য।

সালাম আদান-প্রদানে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। মমত্ববোধ জাগ্রত হয়। রাগ, হিংসা জটিলতা কুটিলতা ছলচাতুরী দূর হয়ে যায়। ছোটরা বড়দের সালাম দেবে এটিই স্বাভাবিক। বড়রা সালামের জবাব দিয়ে দোয়া করবেন। খুশি হবেন। কিন্তু হজরত মুহাম্মাদ সা:-এর সুন্নাত হলো বড়রাও ছোটদের সালাম দেবে। ছোটদের শেখানো বা অভ্যাস তৈরি করার জন্য হলেও বড়দের সালাম দেয়া দরকার। বড় কেউ সালাম দিলে ছোটরা অনেক খুশি হয়।

আমি নিজে শিশুদের সালাম দিই। আমি সালাম দেয়ার পরে দেখেছি শিশুরা কতটা খুশি হয়। মুগ্ধ অভিভূত হয়। তখন আমার নিজের কাছে খুব ভালো লাগে। মনের মধ্যে তৃপ্তির ঢেউ ওঠে। সামান্য একটি সালাম পেয়ে ওরা কত খুশি হয় এটি দেখার জন্য শিশুদের সালাম দিতে হবে। আপনিও দিয়ে দেখুন।

প্রতিনিয়ত নিজ বাসার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিশুদের সালাম দিন। দেখবেন ওরা কতটা অমায়িক আর ভদ্র হয়। আমি দেখেছি সালাম পেয়ে ওরা কেমন আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। শিশুরা বুঝতে পারে- আমরাও মানুষ। ‘আমাদের যখন বড়রা, গুরুজনরা সালাম দেয়, তখন আমরাও বেশি বেশি সালাম দেবো’ এমন একটি মনোভাব শিশুদের মনে জাগ্রত হয়। বড়দের সালাম পাওয়া শিশুদের আদবকায়দা বেশি থাকে।

কারণ আদবকায়দা জিনিসটা শিখিয়ে দিতে হয়। নিজে থেকে আসে না। একজন মানবশিশুকে যেভাবে গড়ে তুলবেন সেভাবেই সে গড়ে উঠবে। আসুন আমরা সালামের প্রতিযোগিতা করি। সবাই সবাইকে সালাম দিই। আমাদের দেখেই শিখবে ছোটরা। শান্তির বাণী ছড়িয়ে পড়ুক মুখে মুখে। আলোময় হোক জীবন চলার পথ।