সলোমন দ্বীপপুঞ্জে পুনরায় মার্কিন দূতাবাস চালু

সলোমন দ্বীপপুঞ্জে পুনরায় মার্কিন দূতাবাস চালু

সলোমন দ্বীপপুঞ্জে পুনরায় মার্কিন দূতাবাস চালু

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব  মোকাবেলার অংশ হিসেবে ৩০ বছর পর বৃহস্পতিবার সলোমন দ্বীপপুঞ্জে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের দূতাবাস পুনরায় চালু করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে বলেন, কূটনৈতিক ঘাঁটি পুনঃস্থাপন ‘সলোমন দ্বীপপুঞ্জের জনগণ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আমাদের অংশীদারিত্বের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন।’

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৩ সালে স্নায়ুদ্ধ অবসানের পর কূটনৈতিক পদ হ্রাস এবং অগ্রাধিকারের পরিবর্তনের ফলে রাজধানী হোনিয়ারাতে দূতাবাস বন্ধ করে দেয় ।সলোমন চীনের সঙ্গে গোপন নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করার সময় ওয়াশিংটন ২০২২ সালের গোড়ার দিকে এটি পুনরায় চালু করার অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী মানসেহ সোগাভারে এবং বেইজিংয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিটি পশ্চিমা শক্তিগুলোর মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করেছিল। কারণ সলোমনরা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনকে একটি নতুন অবস্থান দিতে পারে।হোনিয়ারাতে অন্তবর্তীকালীন প্রতিনিধি মার্কিন কূটনীতিক রাসেল কর্নিউ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছেন, দূতাবাস তার সরকার এবং সলোমনদের মধ্যে ‘একটি মূল প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে’।

ব্লিংকেনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পুনরায় খোলার বিষয়টি ‘পুরো অঞ্চল জুড়ে আরও কূটনৈতিক কর্মী মোতায়েন এবং আমাদের প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে জড়িত থাকতে আমাদের প্রচেষ্টার ভিত্তি তৈরি হয়েছে।’

সোগাভারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী কলিন বেক বলেছেন, দূতাবাস পুনরায় খোলার বিষয়টিকে ‘সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সরকার এবং জনগণ স্বাগত জানিয়েছে’।
স্থানীয় শিল্পী ন্যাটি সালা একে উন্নত কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য ‘সঠিক পথে একটি পদক্ষেপ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

সালা আশা প্রকাশ করেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ যুদ্ধের সময় সলোমনের উপকূলে ছড়িয়ে থাকা অবিস্ফোরিত জাপানি ও আমেরিকান অস্ত্রশস্ত্র অপসারণের প্রচেষ্টা জোরদার করবে যুক্তরাষ্ট্র।‘এটি সলোমন দ্বীপপুঞ্জের জন্য সুসংবাদ।’৫০ বছর বয়সী লোইস বানা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি দূতাবাস পুনরায় খোলার প্রশংসা করলেও তিনি উদ্বিগ্ন হয়েছেন যে এটি এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবেলা করতে ‘ভূরাজনীতির’ অংশ কিনা।

সূত্র : বাসস