ইবির অর্থনীতি বিভাগের পুনর্মিলনী : বয়সের ভার ছাপিয়ে বাঁধ ভাঙা উল্লাস

ইবির অর্থনীতি বিভাগের পুনর্মিলনী : বয়সের ভার ছাপিয়ে বাঁধ ভাঙা উল্লাস

ইবির অর্থনীতি বিভাগের পুনর্মিলনী : বয়সের ভার ছাপিয়ে বাঁধ ভাঙা উল্লাস

কারো বয়স চল্লিশ কারো বা পঞ্চাশ। অনেকের ষাট ছুঁই ছুঁই। সাদা দাড়ি ও শরীরে বার্ধক্যের ছাপ পেরিয়ে তারা ফিরেছেন তারুণ্যে। সময়ের জনপ্রিয় গানের তালে তালে মেতেছেন আনন্দ-উল্লাসে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্থনীতি বিভাগের পুনর্মিলনীর আনন্দ শোভাযাত্রার দৃশ্য এটি। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ৩৩টি ব্যাচের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রথমবারের মতো এ আয়োজন করে বিভাগটি।

সকাল ১০টায় মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এতে সাদা টি-শার্ট ও ক্যাপ পড়ে অংশ নেন সাবেক ও বর্তমান সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। র‌্যালিতে বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ব্যাচের ব্যানার নিয়ে অংশ নেন। বর্তমান শিক্ষার্থীরা নানা সাজে ফুটিয়ে তোলেন কুষ্টিয়ার গ্রামীণ সংস্কৃতিকে। র‌্যালিতে বাদ্যযন্ত্রের সাথে নাচে-গানে মেতে উঠেন সবাই। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে গিয়ে আলোচনাসভায় মিলিত হয়।

সভায় বিভাগের বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।

এসময় বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন। শেষে খ্যাতনামা ব্যান্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। পুনর্মিলনী উপলক্ষে সাবেক শিক্ষার্থীরা একদিন আগে থেকেই ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেন। তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মীর মশাররফ হোসেন ভবনের পাশে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক আয়োজন করা হয়।

পুনর্মিলীর মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর সহপাঠী বন্ধুদের ফিরে পেয়ে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন সাবেক শিক্ষার্থীরা। ১৯৯১-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুস সিদ্দিক বাদশা বলেন, অনেকদিন পর বন্ধুদের ফিরে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে আবারো ক্যাম্পাস লাইফে ফিরে এসেছি। শরীরে বার্ধক্য এলেও আজ যেন মনে আবারো তারুণ্যের উচ্ছ্বাস ফিরে এসেছে। ক্যাম্পাসে এলে পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে। এত বছর পর সহপাঠীদের পেয়ে চাকুরিজীবনের ব্যস্ততা ভুলে গিয়ে খুবই উপভোগ করেছি।

বিভাগটির ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বেলাল উদ্দীন বলেন, বিভিন্ন সময় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা বা কথা হলেও একসঙ্গে তাদের পাওয়া হচ্ছিল না। মনে দীর্ঘদিনের একটি আকাঙ্ক্ষা ছিল। পুনর্মিলনীর মাধ্যমে এই আশা পূর্ণ হলো। বন্ধুদের সঙ্গে সময়গুলো খুবই উপভোগ করেছি। এই স্মৃতি সারাজীবন মনে থাকবে।