ফিলিস্তিনিদের ওপর 'নিধনযজ্ঞ' : ৫ ইহুদ বসতি স্থাপনকারী গ্রেফতার

ফিলিস্তিনিদের ওপর 'নিধনযজ্ঞ' : ৫ ইহুদ বসতি স্থাপনকারী গ্রেফতার

সংগৃহীত

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর 'নিধনযজ্ঞ' চালানোর অভিযোগে পাঁচ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীকে গ্রেফতার করেছে ইসরাইলি পুলিশ। ওই 'নিধনযজ্ঞ' নিয়ে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। আর ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নির্দেশে 'নিধনযজ্ঞের' ঘটনাস্থল পশ্চিম তীরের হাওয়ারা গ্রামের দোকানপাট বুধবার বন্ধ থাকে।

চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে হাওয়ারা গ্রামের ঘটনাকে ইসরাইলি জেনারেলই 'নিধনযজ্ঞ' (প্রগ্রম বা সঙ্ঘবদ্ধ হত্যাযজ্ঞ- যা গত শতকের প্রথম দিকে পূর্ব ইউরোপে ইহুদিদের ওপর চালানো হয়েছিল) হিসেবে অভিহিত করেছেন।

হাওয়ারার অধিবাসীরা জানিয়েছেন, ব্যাপক ইসরাইলি সামরিক উপস্থিতির মধ্যে সেনাবাহিনীর নির্দেশে ফিলিস্তিনিদের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার এক ফিলিস্তিনি বন্দুকধারী দুই ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীকে হত্যা করে। এর বদলা নিতে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা নৃশংসভাবে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ও গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এতে এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়।

ইসরাইলি পুলিশ জানিয়েছে, হাওয়ারায় বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আরো কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হতে পরে।
ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতয়ে বুধবার গ্রামটি সফর করে বলেন, গ্রেফতারই যথেষ্ট নয়। 'আমরা ইসরাইলি সরকারের করা ও বসতি স্থাপনকারীদের পরিচালিত সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধ দেখেছি।'

ওই এলাকার ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল ইয়েহুদা ফুচস বলেন, তার বাহিনী বসতি স্থাপনকারীদের প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু সহিংসতার তীব্রতা দেখে তারা বিস্মিত হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, কয়েক ডজন লোক হামলা চালিয়েছে।

তিনি বলেন, 'হাওয়ারার ঘটনাটি ছিল দুস্কৃতিকারীদের পরিচালিত একটি নিধনযজ্ঞ।'

চলতি বছরের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনি-ইসরাইলি উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। এ পর্যন্ত ৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর ইসরাইলিদের ওপর হামলায় ১৩ ইসরাইলি ও এক ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছে।

সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর