জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব আসনেই রিটার্নিং অফিসার

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব আসনেই রিটার্নিং অফিসার

সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় প্রত্যেক নির্বাচনী আসনে একজন করে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের বিধান রেখে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন, ২০২৩’ নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বর্তমানে জাতীয় নির্বাচনের সময় প্রত্যেক জেলায় একজন করে রিটার্নিং অফিসার থাকেন। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। 

প্রস্তাবিত আইনে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে গণমাধ্যমকর্মী ও পর্যবেক্ষকদের পেশাগত কাজে বাধা দিলে দুই থেকে সাত বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনটির চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার সময় আরও কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) বলেন, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণ এবং বিলখেলাপিরা তাদের খেলাপি টাকা পরিশোধ করলেই নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। বিদ্যমান আইনে সাত দিন আগে এসব পরিশোধের বিধান রয়েছে। এছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আয়কর প্রদানের রশিদ সংযুক্ত করার বিধান রাখা হয়েছে। আইনে ভোটকেন্দ্রে পেশিশক্তির প্রভাব বিস্তার করলে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাকে নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচন কর্মকর্তা কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন বন্ধ করবেন, তার বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে আইনের সংশোধনীতে। এছাড়া ব্যালট পেপারের পেছনে অফিসিয়াল সিল ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষর না থাকলে তা গণনায় আনা যাবে না এমন বিধান স্পষ্ট করা হয়েছে। ভোটগণনার বিবরণী ও ব্যালট পেপারের হিসাব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাঁর এজেন্টকে দেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সচিব জানান, আইনে ভোট গ্রহণ শুরুর আগের ৪৮ ঘণ্টা ও পরের ৪৮ ঘণ্টায় কেউ বিশৃঙ্খলামূলক আচরণ, অস্ত্র ও পেশিশক্তি প্রদর্শন এবং ভোট গ্রহণ কাজে নিয়োজিতদের ভয় দেখালে সর্বোচ্চ সাত বছর ও সর্বনিম্ন দুই বছর জেল-জরিমানার বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। ভোটার, পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পেশিশক্তির বিস্তার রোধে নির্দিষ্ট মেয়াদে সাজার কথা বলা হয়েছে।