বাম্পার লিচু উৎপাদনে নজর কাড়ছে পাবনার চাষিদের, ৫শ’ কোটি টাকার উৎপাদনের আশা

বাম্পার লিচু উৎপাদনে নজর কাড়ছে পাবনার চাষিদের, ৫শ’ কোটি টাকার উৎপাদনের আশা

বাম্পার লিচু উৎপাদনে নজর কাড়ছে পাবনার চাষিদের, ৫শ’ কোটি টাকার উৎপাদনের আশা

পাবনা জেলায় উপযোগী আবহাওয়ার দরুন বেশির ভাগ গাছে প্রচুর কুঁড়ি অঙ্কুরিত হওয়ায় লিচুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষীরা। এবারো জেলায় প্রায় ৫শ’ কোটি টাকার লিচু উৎপাদনের আশা কৃষক ও কৃষি বিভাগের।

সম্প্রতি লিচু উৎপাদনকারী কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে এ প্রতিবেদক দেখতে পান, বেশি ফলনের আশায় চাষিরা তাদের গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত। ইশ্বরদী, সদর উপজেলাসহ জেলার নয় উপজেলায় কম বেশি লিচু উৎপাদন হচ্ছে। মাঠ বাগান ছাড়াও আনাচে-কানাচে, বাড়ির আঙ্গিণায় লিচু গাছ শোভা পাচ্ছে।জেলার অধিকাংশ লিচু গাছে শোভা পাচ্ছে সোনালি-হলুদ রঙের কুঁড়ি। ফুলের পরিচর্যা করতে চাষিরা অনেক বেশি যত্নবান এবং ব্যস্ত দিন পার করছেন। কয়েকটি গাছে কোমল লিচু দেখা যাচ্ছে। এ বছর লিচু চাষে ভালো লাভের আশা করছেন কৃষকরা।

ঠিক সময়ে কুঁড়ি না ফুটলেও এখন সব গাছে ফুল ফুটেছে। দেখা গেছে, বড় গাছের চেয়ে মাঝারি ও ছোট ক্যাটাগরির গাছে বেশি মুকুল আসে। বাতাস কুঁড়ির তাজা ঘ্রাণও দেয়; যা এই বছর আরও ভাল উৎপাদনের জন্য কৃষকদের মুখে আশীর্বাদ নিয়ে আসে। এখন দেশি লিচু গাছে ইতোমধ্যেই গুটি আসা শুরু হয়েছে। তবে হাইব্রিড যেমন বোম্বাই, চায়নাসহ বিভিন্ন উন্নতজাতের লিচু গাছে মুকুলে ভরে গেছে বলে কৃষি বিভাগের মাঠকর্মী ও কৃষকরা জানান।পাবনা সদর উপজেলার চক উপ্রগড় গ্রামের আদর্শ কৃষক আব্দুস আবুল কালাম আজাদ বলেন, "এখন আবহাওয়া খুবই ভালো, তাপমাত্রাও অনেক ভালো। তাই আমরা ভালো ফলনের আশা করছি"। কিন্তু তাপমাত্রা বেশি হলে তা উৎপাদনের জন্য বড় ধাক্কা হবে।

ইশ্বরদী উপজেলার আওতাপাড়া এলাকার লিচু চাষি আতিয়ার রহমান বলেন, লিচু গাছে মুকুল দেখে আমরা খুবই খুশি। তিনি আরো বলেন, "এই এলাকার লিচু খুবই টেস্টি, এই এলাকার মাটি লিচু চাষের জন্য খুবই অনুকূল"। আমার তেইশটি লিচু গাছের মধ্যে ১৮টি গাছে পরাণ ভরা লিচুর গুটি আমকে আকর্ষণ করে তুলেছে। 

জেলা কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, "কৃষকদের বাগানের পাশাপাশি মুকুলের পর গুটির পরিচর্যা করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। লিচু গাছে এ সময় অ্যানথ্রাক্স সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তাই কৃষকদের এ সংক্রান্ত ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ  দেয়া হচ্ছে।পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তওে সদ্য যোগদানকৃত উপপরিচালক (ডিডি) মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন,‘ আবহাওয়া ভালো থাকলে গত বছরের তুলনায় এবার লিচুর উৎপাদন ভালো হবে বলে জানান। এ বছর জেলায় ৪শ’ থেকে ৫শ’ কোটি টাকার লিচু উৎপাদন হবে বলেও এ কর্মকর্তা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।