মার্চে নির্যাতনের শিকার ২৪৯ নারী ও কন্যাশিশু

মার্চে নির্যাতনের শিকার ২৪৯ নারী ও কন্যাশিশু

প্রতীকী ছবি

চলতি বছরের মার্চে মোট ২৪৯ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যাসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ১২৯ জন নারী ও ১২০ জন কন্যাশিশু রয়েছে।

রোববার (২ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে মোট ২৪৯ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২৭ জন কন্যাশিশুসহ ৩৭ জন। যার মধ্যে পাঁচজন কন্যাশিশুসহ ১০ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আর পাঁচজন কন্যাশিশুসহ সাতজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছে ৭ জন কন্যাশিশুসহ ৯ জন।

নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে এতে বলা হয়, উল্লিখিত সময়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে সাত কন্যাসহ মোট ১২ জন। পাশাপাশি উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে পাঁচজন নারী ও কন্যাশিশু। এর মধ্যে উত্ত্যক্ত করার কারণে আত্মহত্যা করেছে দুজন কন্যাশিশু। আর নারী ও কন্যাশিশু পাচারের ঘটনা ঘটেছে চারটি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মার্চে অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন দুজন। পাশাপাশি যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন চারজন। আর শারীরিক নির্যাতনের শিকার ২৮ জন। এ সময় এক গৃহকর্মীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী এই সময়ে বিভিন্ন কারণে ৬ জন কন্যাশিশুসহ ৪০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ৬ জন কন্যাশিশুসহ ২২ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আর ৪ জন কন্যাশিশুসহ ১০ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে এক কন্যাশিশুসহ চারজন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া দুজন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আর ৯ জন কন্যাশিশু অপহরণের শিকার হয়েছে। সেই সঙ্গে একজনকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শুধু মার্চ মাসে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে তিনজন। পাশাপাশি দুজন কন্যাশিশুসহ চারজন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন। এ সময় বাল্যবিবাহের চেষ্টা হয়েছে ছয়টি। এ ছাড়া ৯ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে ছয়জন নারী ও তিনজন কন্যাশিশু রয়েছে।