জাকাত প্রদানে সম্পদ বৃদ্ধি পায় যেভাবে

জাকাত প্রদানে সম্পদ বৃদ্ধি পায় যেভাবে

ফাইল ছবি

শাব্দিক অর্থে জাকাতের অনেক অর্থের মধ্যে পবিত্রতা ও ক্রমবৃদ্ধি অন্যতম। পারিভাষিক অর্থে জাকাত হলো- ধনীদের ধন-মাল থেকে আল্লাহর নির্ধারিত হারে উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রদান করা। আল্লাহ বলেন, ‘...এবং তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জাকাত আদায় করো। অতঃপর তিনি তা দ্বিগুণ করে দেবেন।’ (সূরা আর-রুম, আয়াত-৩৯)। জাকাত আদায়ের ব্যাপারে মুহাম্মদ সা: বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ জাকাত দেয়া ফরজ করেছেন যেন তোমাদের অবশিষ্ট সম্পদকে নির্দোষ বা নির্বিঘ্ন করে দিতে পারেন।’ (আবু দাউদ শরিফ)।

জাকাত অর্থসম্পদকে পুঁজিবাদের অপবিত্রতা থেকে পবিত্র করে, মানুষের মন-মস্তিষ্ককে গর্ব-অহঙ্কার, লোভ-লালসা ও কৃপণতার মলিনতা থেকে পরিচ্ছন্ন রেখে সমাজের অবহেলিতদের অধিকার পূরণে উৎসাহ জোগায়। জাকাত দিলে পরকালীন মুক্তির পথও সুগম হয়, তেমনি না দিলে বা তা অস্বীকার করলে দুনিয়া ও আখিরাতে ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে। এছাড়া জাকাত সামাজিক জীবন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

জাকাত ‘নিসাব’ পরিমাণ সম্পদ অব্যবহৃত থাকা মুসলমানদের ওপর ফরজ। জাকাতের জন্য বিভিন্ন সম্পদের কথা উল্লেখ থাকলেও ন্যূনতম সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ, কিংবা সাড়ে ৫২ তোলা রৌপ্য বা সমমূল্যের সম্পদ যাদের গচ্ছিত থাকে তাদের ওপর ফরজ। হিসাবকৃত সম্পদ থেকে ঋণ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট সম্পদ থেকে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ জাকাত দিতে হবে। এ বিষয়ে আল্লাহ বলেন, ‘(হে রাসূল!) তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে, কী দান করবে? আপনি বলুন, যা তোমার প্রয়োজনের অধিক অথবা যতটুকু দান করলে তোমার অসুবিধা না হয়।’ (সূরা বাকারা, আয়াত-২১৯)

জাকাতের অনেক ধরনের ভূমিকার কথা হাদিসে বর্ণিত আছে; সম্পদের বৃদ্ধি তার অন্যতম। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি অর্থাৎ জাকাত তার দাতাদের সম্পদকে কিভাবে বৃদ্ধি করে এবং দরিদ্রদের অভাব কিভাবে পূরণে সহায়তা করে সে বিষয়ে এই প্রবন্ধে আলোচনা করা হবে, ইনশাআল্লাহ।

জাকাত দিলে যেভাবে সম্পদ বাড়ে
জাকাত ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। সুতরাং বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেকেই গুরুত্ব দেন না এই ভেবে যে, জাকাত দিলে সম্পদ কমে যাবে। আসলে জাকাত দিলে সম্পদ কমে না; বরং বৃদ্ধি পায় যা আল্লাহ নিজেই বলেছেন- ‘আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন আর দান-সদকাকে বৃদ্ধি করেন। আল্লাহ অকৃতজ্ঞ পাপিষ্ঠ ব্যক্তিদের কখনো পছন্দ করেন না; বরং আল্লাহ ওয়াদা করেছেন, জাকাত আদায়ের ফলে তিনি বান্দার সম্পদ দ্বিগুণ করে দেবেন।’

জাকাত তার দাতার, গ্রহীতার এমনকি সমাজের সবার অর্থনৈতিক উন্নতির সোপান। এর কারণ জাকাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করে ফলে সার্বিকভাবে উৎপাদকের তথা দেশের পণ্যসামগ্রী বেড়ে যায়। বাড়তি এই পণ্যসামগ্রী গরিব, দুঃখী ও অভাবী মানুষের মধ্যে বণ্টিত হলে তাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে এসব লোকের চাহিদা বাড়ে। চাহিদা পূরণের জন্য স্বাভাবিকভাবেই উৎপাদন ও জোগান বৃদ্ধি পায়; এতে মুনাফাও বেড়ে যায়। ফলে সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারিত হয়; অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়। দেশ তথা জনগণের মোট উৎপাদন বেড়ে গেলে দরিদ্ররা বেশি জাকাত পাবেন, ফলে তাদের দারিদ্র্য দূর হবে।

একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ধরুন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে আনুমানিক ৮০ হাজার কোটি টাকা জাকাত আদায়যোগ্য। জাকাত প্রদানকারী তার নিসাবের উপরের সম্পদে জাকাত দিয়েছেন। এই ৮০ হাজার কোটি টাকা জাকাত না দিলে জাকাত প্রদানকারীর টাকা ব্যাংকে জমা থাকবে, কারণ তার খরচ করার প্রয়োজন নেই, তার সব মৌলিক চাহিদা পূরণ হয়েছে। ব্যাংকের ওই টাকা অর্থনীতিতে তেমন কোনো ভূমিকা রাখবে না। কারণ ওই ৮০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে নতুন পণ্য উৎপাদন করলে ও পাশাপাশি বাজারে ওই ৮০ হাজার কোটি টাকার পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি করতে না পারলে পণ্য বিক্রি হবে না অথবা কমদামে বিক্রি হবে। পণ্যের উৎপাদক ও বিক্রেতা, যারা জাকাত দিয়েছেন তাদের ব্যবসায় ক্ষতি হবে, ফলে তাদের সম্পদ কমে যাবে।

অন্যদিকে, যদি ওই ৮০ হাজার কোটি টাকা গরিবদের জাকাত দেয়া হয় তাহলে গরিবের পণ্য ক্রয়ের চাহিদা রয়েছে। তারা তাৎক্ষণিক বাজারে গিয়ে মৌলিক চাহিদার পণ্য ক্রয় করবে। ফলে বাজারে ৮০ হাজার কোটি টাকার পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি হবে। চাহিদা বৃদ্ধির কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, ফলে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে হবে। আর এই বাড়তি পণ্যের উৎপাদক, সরবরাহকারী ও বিক্রেতা ওই জাকাত প্রদানকারী বড়লোক। জাকাত দিয়ে তার নিজের পণ্যের চাহিদা বাড়াল, সরবরাহ বাড়াল এবং চূড়ান্তভাবে দাম বাড়াল; ফলে জাকাত প্রদানকারীর সম্পদ বেড়ে গেল।

জাকাত দেয়ার মাধ্যমে সমাজের ধনী-গরিবের বৈষম্য দূরীভূত হয়। জাকাত ঠিকমতো আদায় ও বিলি-বণ্টন হলে গরিব ও অভাবীরা সচ্ছল এবং উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ পায়। জাকাত ধনীদের সম্পদকে গরিবদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন- ‘সম্পদ যেন শুধু তোমাদের ধনীদের মধ্যে আবর্তিত না হয়।’ (সূরা হাশর, আয়াত-৭)। জাকাতের ওপর অর্থনীতির যে ভিত তৈরি হয়, তাতে ধনী-গরিবের বৈষম্য কমে যায়, ফলে সমাজে শান্তি আসে। সমাজের হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর হাতে সম্পদ বণ্টিত হওয়ার ফলে সমাজে থাকে না কোনো বিরোধ; এতে সমাজে আসে অর্থের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীল ও টেকসই অর্থনীতি।

জাকাত দিলে সম্পদে বরকত হয়
আল্লাহর অভিপ্রায় হচ্ছে, জাকাতের দ্বারা সম্পদ ও বরকত বাড়িয়ে দেয়া। দুনিয়াতে অসংখ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে, হারাম উপায়ে অর্জিত অর্থ-সম্পদের মালিকরা চোখের পলকে পথের ফকির হয়ে গেছে। এক দুই পুরুষের ব্যবধানে সুদি কারবারি ভিক্ষার থালা হাতে রাস্তায় নেমেছে। সুদভিত্তিক বিলিয়ন-ট্রিলিয়নের ব্যবসায় অকল্পনীয়ভাবে ধসে গেছে। অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে নামী-দামি ব্যাংক ও করপোরেট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে গেছে।

অঢেল টাকার মালিক একটি মাত্র রোগে ধন-সম্পদ সব হারিয়ে, ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে। পরের সম্পদ অপহরণের মাধ্যমে ধনকুবের হয়ে যাওয়া লোকটি স্ত্রী-পুত্র-কন্যার সান্নিধ্যসুখ কিংবা আত্মীয়-পরিজন এমনকি ব্যক্তিগত সুখ-শান্তি থেকে ভীষণ রকম বঞ্চিত। অর্থের জোরে বা কৃত্রিম অহমিকাবোধ থেকে সে তেজ দেখালেও মানবিক দিক দিয়ে সে ভেতর থেকে ভয়ঙ্কর রকম ফাঁকা, যা পূরণের জন্য সে মৌজমাস্তি, অপচয় বা মাদকের আশ্রয় নেয়। জাকাতদাতার সম্পদের হিফাজতের দায়িত্ব আল্লাহর। আল্লাহ চান যে জাকাতভিত্তিক অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থা সুসংহত হোক। জাকাত দিলে নিজ ও নিজ বংশধরের মধ্যে দ্বীন-ঈমান টিকে থাকে।

জাকাত চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসী, চোর-ডাকাত এমনকি রাষ্ট্রের রোষানল থেকেও জাকাতদাতাকে রক্ষা করে; ফেরেশতারা জাকাতদাতাকে হিফাজত করেন। আর জাকাত না দিলে জমাকৃত সম্পদই পরকালে তার শাস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আল্লাহ বলেন- ‘যারা সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে, হাশরের দিন এসবকে আগুনে গরম করে তাদের কপাল, চেহারা ও দেহের নানা অংশে ছেঁকা দেয়া হবে।’ হাদিসে এসেছে, ‘সম্পদ সাপের আকারে তাদের গলায় ঝুলবে আর ছোবল দেবে; বলবে, আমরা তোমার সে সম্পদ, যা তুমি পাওনাদার ও বঞ্চিতদের না দিয়ে কুক্ষিগত করে রেখেছিলে।’

জাকাত আল্লাহর দুনিয়ায় আল্লাহর প্রতিনিধিকে টাকা দেয়া তথা আল্লাহকেই টাকা দেয়ার মতোই। আল্লাহ এ মর্মে বলেছেন, তোমরা যা কিছু আল্লাহর পথে ব্যয় করো এসবই আল্লাহর কাছে সুরক্ষিত থাকে। আল্লাহ এসব বাড়াতে থাকেন। বহুগুণে বৃদ্ধির পর সেসব তোমাদের ফিরিয়ে দেয়া হবে। আল্লাহ মানুষের ছোট-বড় কোনো আমলই বিনষ্ট হতে দেন না। এ ছাড়া জাকাত দানের মাধ্যমে এক মুসলমানের প্রতি অন্য মুসলমানের হক আদায় হয়ে যায়। গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটে। সমাজের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ বৃদ্ধি পায়, দরিদ্রতা দূর হয়।

হাদিসে কুদসিতে এসেছে, হাশরের দিন আল্লাহ বলবেন- ‘আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম, তোমরা আমাকে খেতে দাওনি। আমি রুগ্ন ছিলাম, তোমরা আমার চিকিৎসা করোনি। আমি অভাবী ছিলাম, তোমরা আমাকে সাহায্য করোনি ইত্যাদি।’ মানুষ তখন বলবে, হে আল্লাহ! আপনি সর্বশক্তিমান ও সবার স্রষ্টা। আপনি কিভাবে ক্ষুধার্ত, অভাবী ও রুগ্ন হতে পারেন? তখন আল্লাহ বলবেন- ‘আমার অভাবী ও দুঃখী বান্দারা তোমার কাছে গিয়েছিল কিন্তু তুমি তাদের কিছুই দাওনি। যদি দিতে তাহলে তা আমাকেই দেয়া হতো। এর বিনিময় আজ তোমরা আমার কাছে পেতে।’ হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে, সমস্ত সৃষ্টি আল্লাহর বৃহৎ পরিবার। সব চেয়ে উত্তম ব্যক্তি সেই, যে মানুষের বেশি উপকার করে। যদি কেউ নিজের কোটি টাকার বাড়ি-ঘর, খেত-খামার, নগদ টাকা কাউকে দিয়ে বলে, আমার কিছু লোক আছে তাদের বছর শেষে তোমার প্রবৃদ্ধিশীল অংশ থেকে আড়াই শতাংশ দিয়ে দিও।

আল্লাহ বলেন- ‘এটি আমি মালিকের অংশ। তাহলেই তোমাকে দেয়া আমার সব কিছুই তোমার জন্য বৈধ, স্থায়ী ও পবিত্র। আমার নিরাপত্তা ও চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত তুমি পেয়ে যাবে। এরপর যদি অকৃতজ্ঞ এ লোকটি সব কিছু ভোগ করা সত্তে¡ও মালিকের ক্ষুদ্র অংশটি তার লোকদের না দেয়, তাহলে সে বিশ্বের সব চেয়ে বড় অকৃতজ্ঞ; সে শাস্তি ও বিচারের যোগ্য।’

জাকাত দিলে সম্পদ বৃদ্ধির নমুনা
একবার হজরত ইমাম জাফর সাদিক তার পুত্রকে বললেন, তোমার কাছে খরচ করার মতো কী আছে। পুত্র বললেন, ৪০ দিরহামের মতো। ইমাম সাহেব বললেন, এটি দান করে দাও। পুত্র বললেন, আব্বা, আপনি ভেবে বলছেন তো? সংসারের ব্যয় নির্বাহের জন্য এ কয়টি দিরহামই আমাদের আছে। দিয়ে দিলে কাল থেকে খরচ করার মতো একটি কপর্দকও থাকবে না। ইমাম জাফর সাদিক বললেন, তুমি কি জানো না যে, প্রত্যেক জিনিসের যেমন একটি চাবিকাঠি থাকে, তেমনি সমৃদ্ধির চাবিকাঠি হচ্ছে দান? তুমি দিয়ে দাও। দেখো, আল্লাহই সম্পদে বরকত দেবেন। তা-ই হলো। এর মধ্যে ১০ দিনও যায়নি, তার আগেই অন্য একটি কার্যোপলক্ষে জাফর সাদিক ও তার পুত্র চার হাজার দিনার পেলেন!

ইমাম রাইদা তার দাসকে একবার জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি আজ আল্লাহর পথে কিছু দিয়েছ? সে বলল, না তো। ইমাম রাইদা বললেন, তাহলে তুমি কী করে আশা করো যে, আল্লাহ তোমাকে দেবেন। আল্লাহ বলছেন- ‘তোমরা অন্যের জন্যে যা কিছু ব্যয় করবে, তিনি তার প্রতিদান দেবেন। তিনিই শ্রেষ্ঠ রিজিকদাতা।’ (সূরা সাবা, আয়াত-৩৯)। একইভাবে আল্লাহ বলেন- ‘হে মানুষ! ধনসম্পত্তি বৃদ্ধির জন্য তোমরা যে সুদে বিনিয়োগ করো, আল্লাহর কাছে তা বৃদ্ধি পায় না কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য শুদ্ধচিত্তে যা দান করো, তা-ই বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।’ (সূরা রুম, আয়াত-৩৯)

উপরের আলোচনায় প্রমাণিত, জাকাত দিলে সম্পদ বৃদ্ধি পায়। যখনই নিসাব পরিমাণ সম্পদের এক বছর পূর্ণ হয় তখনই জাকাত দেয়া কর্তব্য। তবে রমজানে দেয়ায় সওয়াব কমপক্ষে ৭০ গুণ করা হয়। এতে গরিব অসহায়রা রমজানের রোজা স্বাচ্ছন্দ্যে আদায় করে ও তাদের সন্তান-সন্ততি নিয়ে ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারে। এ ছাড়াও দেশের এই সঙ্কটকালে অবশ্যই অভাবীদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও এ মুহূর্তে মুখবুজে ক্ষুধার যন্ত্রণা সহ্য করছে। সুতরাং এখন জাকাতের অর্থ দিয়ে হাত বাড়ালেই অনেক অনাহারীর মুখে অন্ন জুটবে। কারো একার পক্ষে এ সঙ্কট মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। নিজের সম্পদ থেকে নিজের দেশকে ও শ্রেষ্ঠ মানবতাকেই গুরুত্ব দিতে হবে বেশি। সুতরাং আসুন, আমরা সবাই সঠিকভাবে জাকাত আদায় করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করি। আল্লাহ আমাদের সম্পদ বৃদ্ধি করে দেবেন, ইনশাআল্লাহ।

লেখক : ড. মো: মিজানুর রহমান

অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট
ইমেইল : mizan12bd@yahoo.com