জার্মানির অনুমোদন, যুদ্ধবিমান পাচ্ছে ইউক্রেন

জার্মানির অনুমোদন, যুদ্ধবিমান পাচ্ছে ইউক্রেন

সংগৃহীত

পোল্যান্ডের অনুরোধে ইউক্রেনকে সোভিয়েত নকশায় তৈরি পাঁচটি মিগ–২৯ যুদ্ধবিমান দেওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে জার্মানির সরকার। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর আগ্রাসন মোকাবিলায় কিয়েভকে মিগ–২৯ যুদ্ধবিমান দিতে অনুরোধ করেছিল ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডের সরকার।

বৃহস্পতিবার জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর আলজাজিরার।

তিনি বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় (ফেডারেল) সরকারের সবাই যৌথভাবে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। আমি বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছি।’

পোল্যান্ডের বহরে এখনো যেসব যুদ্ধবিমান আছে সেগুলো তৃতীয় কোনো দেশে পাঠাতে হলে জার্মান সরকারের অনুমতি নিতে হয়। এ কারণে ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠাতে জার্মানিকে অনুরোধ করে দেশটি।

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিস্টোরিয়াস জানান, বৃহস্পতিবার পোল্যান্ডের পক্ষ থেকে এ অনুরোধ করা হয়। অনুরোধের দিনই অনুমোদন প্রমাণিত করে ‘আপনি জার্মানির ওপর ভরসা করতে পারেন।

১৯৯০ সালে দুই জার্মানি যখন এক হলে ‘উত্তরাধিকার’ সূত্রে তৎকালীন পূর্ব জার্মানির কাছ থেকে ২৪টি মিগ–২৯ যুদ্ধবিমান পায় জার্মানি। সে সময় মিগ–২৯ বিশ্বের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান হিসেবে পরিচিত ছিল।

২০০৪ সালে জার্মান সরকার ২২টি মিগ–২৯ যুদ্ধবিমান প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডকে দেয়। আর বাকি দুটির মধ্যে একটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। আর যে একটি মিগ–২৯ সেটি এখন জার্মানির জাদুঘরে রাখা আছে।  

সপ্তাহখানেক আগে পোল্যান্ড সফরে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তখন পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা বলেছিলেন, তাঁর দেশে ইতিমধ্যে চারটি মিগ–২৯ ইউক্রেনকে দিয়েছে। আরও চারটি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া প্রস্তুত আছে আরও ছয়টি মিগ–২৯ যুদ্ধবিমান।  

রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বড় ধরনের হামলা শুরুর পরিকল্পনা করছে দাবি করে মিত্রদের কাছে যুদ্ধবিমান পেতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কিয়েভ। ইতোমধ্যে স্লোভাকিয়াও ইউক্রেনে একাধিক মিগ–২৯ পাঠিয়েছে।

পশ্চিমা দেশগুলো এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান দিতে অনাগ্রহী। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ–১৬। কিন্ত কিছু দেশ এ অবস্থান থেকে সরে এসে ইউক্রেনকে মিগ–২৯–এর মতো পুরোনো যুগের যুদ্ধবিমান দিচ্ছে। অবশ্য ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী যুদ্ধে ইতোমধ্যে এ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে।