বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ১৪২ ব্যবসায়ীর পাশে দাঁড়ালেন ডিএমসিসিআই

বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ১৪২ ব্যবসায়ীর পাশে দাঁড়ালেন ডিএমসিসিআই

সংগৃহীত

ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে বঙ্গবাজার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪২ জন ব্যবসায়ীর প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে।

আজ বুধবার রাজধানীর মতিঝিলস্থ এমসিসিআই কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব ব্যবসায়ীর প্রত্যেককে এক লাখ টাকার নগদ চেক অনুদান হিসেবে প্রদান করা হয়, যাতে আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই তারা খানিকটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

অনুষ্ঠানে চেম্বারের সদস্য, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি, ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকরীরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিএমসিসিআই’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ সংবাদ জানানো হয়।

গত ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ হাজারেরও বেশি দোকান পুড়ে যায়, যার ফলে ১,৫০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বর্তমানে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী এবং তাদের পরিবারবর্গ জীবিকা পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করছেন। এই অনুদানের মাধ্যমে এমসিসিআই’র সদস্যরা সেই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন।

অনুষ্ঠানে এমসিসিআই’র সভাপতি মো: সায়ফুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত সকল ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানান এবং কঠিন সময়ে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সহায়তার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের সংগঠন হিসেবে আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনাদের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো: হেলাল উদ্দিন এমসিসিআই’র এই মহতী উদ্যেগের প্রশংসা করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা করার জন্য অন্যান্য ব্যবসা এবং সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান।

অনুদানপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরা তাদের সহায়তার জন্য এমসিসিআই’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এই অনুদান তাদের ব্যবসা ও জীবন উভয়কেই পুনর্গঠনে সাহায্য করবে বলে তারা মনে করেন।

এই ক্ষতিগ্রস্ত ১৪২ জন ব্যবসায়ীকে 'চিহ্নিত করার জন্য সোসাইটি ফর ন্যাশনাল চ্যারিটি নামে একটি বেসরকারী স্বতন্ত্র দাতব্য সংস্থার সহায়তা নেয়া হয়। যারা সরেজমিনে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্য থেকে ১৪২ জনকে চিহ্নিত করেন। এমসিসিআই সভাপতি তাদেরও ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানটি এমসিসিআই’র জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কামরান টি. রহমানের সমাপনি বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।