ধর্ষণের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি ট্রাম্প

ধর্ষণের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প

লেখক ই জিন ক্যারল ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ড্রেসিং রুমে তাকে ধর্ষণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেওয়ানি মামলায় অভিযুক্ত করেছেন। মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার শুরু হয়। বিচার প্রক্রিয়া এক থেকে দুই সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে।

ই জিন ক্যারল অভিযোগ করেছেন ওই সময় ম্যানহাটানের বার্গডোর্ফের একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ভিতরে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন ট্রাম্প। তার এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, নিজের প্রচারণার জন্য এমন অভিযোগ করেছেন ক্যারল। যেহেতু এটা কোনো ফৌজদারি মামলা নয়, তবুও এতে ট্রাম্পের পরিণতি গুরুত্বর হতে পারে। যদি মিস ক্যারল এই মামলায় জিতে যান তাহলে এটা হবে যৌন অপরাধের জন্য আইনগতভাবে ট্রাম্পকে দায়ী করা প্রথম ঘটনা। তিনিই হবেন এমন অভিযোগে সাবেক কোন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম অভিযুক্ত।

২০১৯ সালে প্রথম প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করার পর থেকে ট্রাম্প বারবার ক্যারলকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন। ট্রাম্পের দাবি, ক্যারল মানসিকভাবে অসুস্থ।

যুক্তরাষ্ট্রের জেলা বিচারক লুইস কাপলান মামলার তত্ত্বাবধান করছেন। তিনি ট্রাম্প সমর্থকদের দ্বারা সম্ভাব্য হয়রানি থেকে তাদেরকে রক্ষা করার জন্য আইনজীবীসহ জনগণের কাছে বিচারকদের নাম প্রকাশ করছেন না।

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান ফ্রন্ট রানার ট্রাম্প বেশ কয়েকটি মামলা এবং তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন।

ট্রাম্প ৪ এপ্রিল নিউইয়র্ক স্টেট কোর্টহাউজে এই অভিযোগগুলোর প্রেক্ষিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। কোর্টহাউস মঙ্গলবারের ট্রায়ালের স্থান থেকে তিন মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত।

সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমসের দ্বারা একই নামের কোম্পানিতে জালিয়াতির অভিযোগে দেওয়ানি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন।

ট্রাম্প জর্জিয়ায় ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং তার মার-এ-লাগো বাসভবন থেকে উদ্ধার হওয়া গোপন সরকারি নথিতে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ইউএস ক্যাপিটলে আক্রমণে তার ভূমিকার বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য অপরাধমূলক তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন।

এই সব ক্ষেত্রেই ট্রাম্প তার অপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সূত্র: বিবিসি,দ্য ন্যাশনাল