ঈশ্বরগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

ঈশ্বরগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা বাজারে হেযবুত তাওহীদ এবং ইত্তেফাকুল উলামার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, বুধবার বিকেল ৩টায় ইত্তেফাকুল উলামা উচাখিলা শাখা হেযবুত তাওহীদের বিরুদ্ধে উচাখিলা পাটবাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। পরে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে লক্ষ্মীগঞ্জ রোডে পৌঁছালে হেযবুত তাওহীদ ও ইত্তেফাকুল উলামা নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন।

হেযবুত তাওহীদের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, ‘২০ রোজার দিন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা বাজারে ইফতার মাফফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। এ সময় স্থানীয় ইত্তেফাকুল উলামা ও মুসুল্লিরা আমাদের নির্ধারিত স্থানে ইফতার আয়োজনে বাধা দেয়। পরে একই দিন আমরা অন্য জায়গায় ইফতার করি। তখন থেকেই মূলত সমস্যার শুরু। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর উচাখিলা এলাকার তিনটি মসজিদ থেকে কিছু মাদরাসা শিক্ষার্থী আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ও লিফলেট বিতরণ করে। তখন আমরা পুলিশকে লিখিতভাবে জানালে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেয় পুলিশ। গতকাল ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আমাদের প্রতিহত করার ডাক দেন স্থানীয় ইত্তেফাকুল উলামার নেতারা। পরে এ ঘটনার দিন দুপুরে ইত্তেফাকুল উলামার নেতাকর্মীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা করার জন্য আসেন। তখন আমরা তাদের প্রতিহত করি। এতে আমাদের পাঁচজন কর্মী আহত হয়েছেন।’

ইত্তেফাকুল উলামার উচাখিলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আখতারুজ্জামান জানান, হেযবুত তাওহীদ ইসলামবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করায় সাধারণ মানুষকে সুপথে ফেরাতে কর্মসূচি দেওয়া হয়। সভা শেষে মিছিল শুরু করতেই তারা হামলা চালায়। এতে পাঁচ থেকে সাতজনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান জানান, বুধবার বিকেলে সংবাদ পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি।