তাড়াশে যুবককে নৃশংসভাবে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন

তাড়াশে যুবককে নৃশংসভাবে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন

সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চুরির অপবাদে এক যুবককে নৃশংসভাবে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাড়াশের সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুজন সরদার বাজার থেকে তুলে নিয়ে এ নির্যাতন চালিয়েছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। নির্যাতনের রোমহর্ষক ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে যুবকের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ইউপি সদস্যকে আটক করেছে তাড়াশ থানা পুলিশ। সোমবার (০১‌ মে) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ইউপি সদস্য সুজন সরদারের নির্দেশে নওখাদা গ্রামের হাসিনুর রহমানের ছেলে জুয়েলকে (১৯) রশি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে ও পরে ঝুলিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে।

নির্যাতনের পর ইউপি সদস্য ও তার লোকজন তাকে চোর সাজিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওচিত্রটি ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে সোমবার রাতে পুলিশ সুজন সরদারকে আটক করে।

নির্যাতনের শিকার জুয়েলের মো. হাসিনুর রহমান ইউপি সদস্য সুজন সরদার, ডেকোরেটরের মালিক শিপন ও তার সহযোগী মাজেদুল জনসহ আরো ১০/১২ অজ্ঞাতনামারর বিরুদ্ধে একটি নির্যাতনের অভিযাগ দায়ের করেন।

আভিযোগ থেকে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা বাজারে ৩ নম্বর বিবাদি শিপনের ডেকোরেটরের দোকানে কাজ করতেন জুয়েল। তার যাতায়াতের জন্য শিপন জুয়েলকে একটি পুরনো বাইসাইকেল দেন। কিন্তু ডেকোটরের ব্যবসা ভালো না হওয়ায় জুয়েলের বেতন না দেয়ায় তিনি কাজ বন্ধ করে দেন।

এরপর শিপন স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সুজন সরদারের শরণাপন্ন হলে তারা বাইসাইকেল উদ্ধারের জন্য মিথ্যা চুরির ঘটনা সাজিয়ে জুয়েলকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালায়।

নির্যাতনের শিকার জুয়েলের বাবা বলেন, আমার ছেলে জুয়েলের ওপর নির্যাতনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে মেম্বার সুজন সরদার ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তি‌নি আরো জানান, নির্যাতনের একপর্যায়ে আমার ছেলের জিহ্বা বের হয়ে এলে তারা মারধর বন্ধ করে। আমরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ঘটনাটি জানিয়েছি। এ ঘটনায় ন্যায়বিচার দাবি করছি।

তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের পর ইউপি সদস্য সুজন সরদারকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।