উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণদের কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগাতে হবে : স্পিকার

উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে  তরুণদের কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগাতে হবে : স্পিকার

উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণদের কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগাতে হবে : স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, তরুণ প্রজন্মের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে তাদের কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব। আর এ ব্যাপারে লায়ন্স ভূমিকা রাখতে পারে।তিনি বলেন, ‘লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল মাল্টিপল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫ এর সর্বোচ্চ উপস্থিতি ও সর্ববৃহৎ কনভেনশন ‘৩৬তম বার্ষিক মাল্টিপল ডিস্ট্রিক্ট কনভেনশন ২০২৩’। এই কনভেনশন সদস্যদের মানবসেবায় আরো উদ্বুদ্ধ করবে। এর মাধ্যমে লায়ন্সের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম আরো প্রসারিত হবে।’

রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল মাল্টিপল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫-এর ‘৩৬তম বার্ষিক মাল্টিপল ডিস্ট্রিক্ট কনভেনশন ২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্পিকার আজ এসব কথা বলেন। এসময় স্পিকার কনভেনশনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। দারিদ্র্য ও বৈষম্য থেকে বাংলার মানুষের মুক্তি ছিল তাঁর মূল দর্শন। বাংলার শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য তাঁর সংগ্রাম চির ভাস্বর। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সরকারের পাশাপাশি লায়ন্স সদস্যগণ নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন যা প্রশংসনীয়। বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে লায়ন্সের সকল সদস্যকে আরো নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে কল্যাণকামী স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মূল লক্ষ্য। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি মূল সোপান- স্মার্ট কমিউনিটি, স্মার্ট গভর্নেন্স, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি বাস্তবায়নে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে লায়ন্স সদস্যগণ স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে। নিজেদের সময়, অর্থ, শ্রম ও মেধা কাজে লাগিয়ে লায়ন্স সদস্যগণ সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত হয়ে কাজ করে থাকেন।

২১০টি দেশের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনটি দারিদ্রের দুষ্টচক্র হতে মুক্তি ও কল্যাণকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করে চলেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কৃষকের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলা, ছাত্রীদের মায়েদের মোবাইলের মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদান, প্রযুক্তিগত শিক্ষাদানের জন্য শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন, আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ইত্যাদি কর্মসূচির মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে প্রবৃদ্ধির মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার কার্যক্রম চলমান রেখেছেন। এসকল ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি লায়ন্স সদস্যদের কাজ করার অপার সুযোগ রয়েছে। সংগঠনটির চক্ষু চিকিৎসার পাশাপশি অন্যান্য চিকিৎসা, গবাদী পশু বিতরণ, সেলাই মেশিন বিতরণ ইত্যাদি কার্যক্রম প্রশংসনীয়। মানুষকে স্বাবলম্বী করার কার্যক্রম বিস্তৃত করা দরকার।

লায়ন এ এফ এম এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে লায়ন কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ, লায়ন শেখ কবির হোসেন ও লায়ন মোসলেম আলী খান বক্তব্য রাখেন রাখেন। অনুষ্ঠানে লায়ন মো. ওয়াহিদুর রহমান আজাদ, লায়ন এ কে এম রেজাউল হক ও লায়ন এম এ হাসান সম্মানিত অতিথি হিসেবে এবং কাউন্সিল চেয়ারপারসন লায়ন এস কে কামরুল বক্তব্য রাখেন। লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল ওয়াহাব অনুষ্ঠানে ওথ-অফ-এলিগেন্স পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সম্মানিত সদস্য, বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গনমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস