বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় দ্বিতীয় অবস্থানে আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ

বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় দ্বিতীয় অবস্থানে আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ

ছবি: প্রতিনিধি

তরিকুল ইসলাম তারেক, যশোর: রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে অনুঠিত ১ম বৃত্তিমূলক এমবিবিএস মে-২০২২ এর পরীক্ষায় ২৩ টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে ফলাফলের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে যশোর আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ।

আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ১০ম ব্যাচের ছাত্রীরা এই পরীক্ষায় অংশ নেন। ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ থেকে এনাটমি বিষয় দিয়ে তাদের পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পুলেরহাট যশোরে অবস্থিত এই মেডিকেল কলেজ থেকে ৭১ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। গত ২৯ এপ্রিল ২০২৩ শনিবার তাদের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। পাশের হার ৯৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ঈর্ষনীয় এই ফলাফল প্রাপ্তীতে দারুন খুশি দেশি বিদেশী শিক্ষার্থীরা। উত্তির্ণ ছাত্রীদের মধ্যে ফারিয়া ইয়াসমিন জানান, মেডিকেল অধ্যয়ন জীবনের প্রথম প্রফ পরীক্ষাতে আমাদের মধ্যে অন্যরকম অনুভ‚তি কাজ করছিল। আমরা ঠিক মত পরীক্ষায় লিখতে পারবো কিনা, ভাইবাতে স্যারদের সামনে সঠিকভাবে ফেস করতে পারবো কিনা। যাইহোক আলহামদুলিল্লাহ পরীক্ষা দেয়ার পর যেরকম ভয়ভীতি কেটে গিয়েছিল। ফলাফল প্রাপ্তীর পর আমরা দারুন খুশি। একই রকম অনুভূতি ব্যক্ত করেন ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির থেকে পড়তে আসা বিদেশী ছাত্রী ফিজা আশরাফ। বাংলাদেশে এই মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নের সব রকমের সুবিধা তারা পাচ্ছেন বলে জানালেন। 

এমবিবিএস কোর্সে শিক্ষার্থীরা ফেজ-১ এ এনাটমি, ফিজিওলজি ও বায়োকেমেষ্ট্রি এই বিষয়গুলো অধ্যয়ন করে থাকেন। তাদের এই ভাল ফলাফল মেডিকেলের পরবর্তি পেশাগত পরীক্ষা গুলোতে সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখতে সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন, অধ্যাপক ডা. মারুফা আখতার ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. শারমিন সুলতানা।

এই মেডিকেল কলেজটিতে রয়েছে উন্নত মানের আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ও সরঞ্জাম। সুসজ্জিত এবং আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ এনাটমি মিউজিয়াম। এছাড়া অন্যান্য বিভাগগুলোতে পর্যাপ্ত মেডিকেল উপকরনে সাজানো ল্যাব। রয়েছে বৃহৎ লাইব্রেরি, উন্নত শিক্ষা পরিবেশ।

রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি বেসরকারি ২৩টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ২য় স্থান অর্জন করায় প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. গিয়াস উদ্দিন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ভবিষ্যতে ফলাফলের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।