আইপিএলের প্লে-অফের লড়াইয়ে কার সামনে কী অঙ্ক

আইপিএলের প্লে-অফের লড়াইয়ে কার সামনে কী অঙ্ক

ফাইল ছবি

আইপিএলের ৫৩টি ম্যাচ হয়ে গেছে। গ্রুপ পর্বে আর ১৭টি ম্যাচ বাকি। এখনো কোনো দল প্লে-অফ নিশ্চিত করতে পারেনি। শেষ চারের দৌড়ে এখনো রয়েছে ১০টি দলই। তবে সবার সামনে অঙ্ক আলাদা আলাদা।

প্লে-অফের সব থেকে কাছে রয়েছে গুজরাট টাইটান্স। আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার দিকে তাকালে দেখা যাবে শীর্ষে থাকা গুজরাটের পয়েন্ট ১৬। সবার নিচে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালসের পয়েন্ট আট। পাঁচটি দল ১০ পয়েন্টে রয়েছে। দু’টি দল রয়েছে আট পয়েন্টে। একটি দলের পয়েন্ট ১১। অর্থাৎ, তিন পয়েন্টের মধ্যে আটটি দল রয়েছে।

গুজরাট টাইটান্স : ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট। এখনো খেলা বাকি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, সানরাইজার্স হায়দারাবাদ ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে। আর একটি ম্যাচ জিতলেই প্লে-অফ পাকা হার্দিক পান্ডিয়াদের।

চেন্নাই সুপার কিংস : ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট। একটি ম্যাচ ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের। এখনো খেলা বাকি দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে দু’টি ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে। প্লে-অফে পৌঁছাতে হলে কমপক্ষে দু’টি ম্যাচ জিততেই হবে ধোনিদের।

লখনউ সুপার জায়ান্টস : ১১ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট। সাম্প্রতিক ফর্ম খুব একটা ভালো নয়। চোট পেয়ে ছিটকে গেছেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। এখনো সানরাইজার্স হায়দারাবাদ, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে খেলা বাকি। তিনটি জিতলেও ১৭ পয়েন্ট পৌঁছাতে পারবে তারা।

রাজস্থান রয়্যালস : ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। শেষ তিনটি ম্যাচ হেরে নিজেদের অঙ্ক নিজেরাই কঠিন করে ফেলেছেন সঞ্জু স্যামসনরা। বাকি ম্যাচ কলকাতা নাইট রাইডার্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ, সর্বোচ্চ ১৬ পয়েন্টে পৌঁছাতে পারবেন সঞ্জুরা।

কলকাতা নাইট রাইডার্স : ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। এ বারের মৌসুমে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি কেকেআর। তাদের পরের তিনটি ম্যাচ রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস, চেন্নাই সুপার কিংস ও লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে। এই তিন ম্যাচ জিতলে সর্বোচ্চ ১৬ পয়েন্টে যেতে পারবে তারা। অর্থাৎ, তার পরেও অন্য দলের ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে নিতিশ রানাদের।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর : ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। এখনো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে বিরাট কোহলিদের। এই চার ম্যাচ জিতলে সর্বোচ্চ ১৮ পয়েন্টে যেতে পারবেন তারা। সে ক্ষেত্রে পাকা হয়ে যাবে প্লে-অফে জায়গা।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স : ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। শুরুটা খারাপ করলেও পরে প্লে-অফের লড়াইয়ে ভালোভাবে রয়েছেন রোহিত শর্মারা। তাদের শেষ চারটি ম্যাচ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, গুজরাট টাইটান্স, লখনউ সুপার জায়ান্টস ও সানরাইজার্স হায়দারাবাদের বিরুদ্ধে। এই চার ম্যাচ জিতলে সর্বোচ্চ ১৮ পযেন্টে যেতে পারবেন তারা। সে ক্ষেত্রে পাকা হয়ে যাবে প্লে-অফে জায়গা।

পঞ্জাব কিংস : ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। আরসিবি ও মুম্বাইয়ের মতো একই পরিস্থিতি শিখর ধাওয়ানদের। তাদের পরের তিনটি ম্যাচ দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে দু’টি ও রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে। এই তিন ম্যাচ জিতলে সর্বোচ্চ ১৬ পয়েন্টে যেতে পারবেন তারা।

সানরাইজার্স হায়োরাবাদ : ১০ ম্যাচে আট পয়েন্ট। হায়দারাবাদের বাকি ম্যাচ গুজরাট টাইটান্স, লখনউ সুপার জায়ান্টস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। এই চার ম্যাচ জিতলে সর্বোচ্চ ১৬ পয়েন্টে যেতে পারবেন তারা। কিন্তু তার পরেও প্লে-অফ নিশ্চিত হবে না নিজামের শহরের।

দিল্লি ক্যাপিটালস : ১০ ম্যাচে আট পয়েন্ট। সবার নিচে থাকলেও এখনো প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দলের। তাদের বাকি চারটি ম্যাচের মধ্যে দু’টি চেন্নাই সুপার কিংস ও দু’টি পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে। এই চার ম্যাচ জিতলে সর্বোচ্চ ১৬ পয়েন্টে যেতে পারবেন তারা।

এবারের আইপিএলে পয়েন্ট তালিকায় আটটি দল খুব কাছে থাকায় শেষ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে নেট রানরেট। অর্থাৎ, একই পয়েন্টে থাকলেও নেট রানরেটের বিচারে কোনো দল প্লে-অফে জায়গা করে নিতে পারে আর কোনো দল ছিটকে যেতে পারে আইপিএল থেকে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা