রাজধানীর ১৬ স্থানে বসবে পশুর অস্থায়ী হাট

রাজধানীর ১৬ স্থানে বসবে পশুর অস্থায়ী হাট

ফাইল ছবি

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার রাজধানীতে কোরবানির পশুর হাট কেন্দ্রিক প্রস্তুতি কিছুটা আগে থেকেই শুরু হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এ বছর রাজধানীতে মোট ১৬টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

এ ছাড়াও থাকছে দুটি স্থায়ী হাট, যেগুলোতে বছরের অন্য সময়ও পশু বিক্রি হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রয়েছে গাবতলী স্থায়ী হাট এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রয়েছে সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাট। এই হাট দুটি ছাড়া আরও ১৬টি অস্থায়ী হাট রাজধানীতে বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। অস্থায়ী হাটগুলোর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবে ৮টি ও উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবে ৮টি হাট।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যে ৮টি স্থানে কোরবানির পশুর অস্থায়ী হাট বসবে সেগুলো হলো : লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত জায়গা, হাজারীবাগ এলাকায় ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠসংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা ও কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা এবং যাত্রাবাড়ীর ও ডেমরার আমুলিয়া মডেল টাউন এলাকা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের যে আটটি স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট বসবে : ভাটারা (সাইদনগর) পশুর হাট, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং ব্লক-ই থেকে এইচ পর্যন্ত এলাকার খালি জায়গা, মোহাম্মদপুর বছিলায় ৪০ ফুট রাস্তাসংলগ্ন খালি জায়গা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গাসংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা দিয়াবাড়ী ১৬ ও ১৮নং সেক্টর সংলগ্ন বউবাজার এলাকার খালি জায়গা, ৪৪নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত কাঁচকুড়া বেপারীপাড়ার রহমাননগর আবাসিক প্রকল্পের খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬ এবং ওয়ার্ড-৬ (ইস্টার্ন হাউজিং)-এর খালি জায়গা।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মো. রাসেল সাবরিন বলেন, যানজট বিবেচনায় মেয়রের নির্দেশে প্রতি বছর হাটের সংখ্যা কমানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এ বছর ঈদুল আজহায় সিটি করপোরেশনের প্রতিটি নির্বাচনী আসনকেন্দ্রিক একটি করে অস্থায়ী হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে ক্রেতাদেরও সুবিধা হবে, যানজটও এড়ানো যাবে। সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।