পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা বেড়েছে : এনামুল হক শামীম

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা বেড়েছে : এনামুল হক শামীম

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দক্ষতা ও সক্ষমতা বেড়েছে। আর এসবই সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে।

আজ শনিবার চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ সড়ক কাম বেড়িবাঁধ প্রতিরক্ষা এবং নিষ্কাশন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

উপমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়নাধীন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর’ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শিল্প অঞ্চল।

তিনি বলেন, ‘মূলত যোগাযোগ ব্যবস্থা, সমুদ্র পথে পরিবহন, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা ও পর্যাপ্ত জমি প্রাপ্তির উপযোগীতা বিবেচনায় প্রায় ৩০ হাজার একর এলাকাব্যাপী এ শিল্পনগরটি মিরসরাই, ফেনী ও সীতাকুণ্ডের সমুদ্র উপকূলবর্তী চরাঞ্চল ও পতিত জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) প্রথম ধাপে মিরসরাই উপজেলায় প্রায় ১৬ হাজার একর পতিত, বেড়িবাঁধের বাইরে জোয়ার- ভাটা প্রবণ জমি সুপারডাইকের মাধ্যমে রক্ষা করে শিল্পাঞ্চলের জন্য উপযোগী করার উদ্যোগ এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের সুপার ডাইকের মতো বড় বড় মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি।'

এনামুল হক শামীম বলেন, প্রকল্পটির আওতায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ বাস্তবায়নাধীন ২২.৫৪০ কিলোমিটার সুপার ডাইক নির্মাণের ফলে প্রায় ১৬ হাজার একর এলাকায় বিভিন্ন ধরণের শিল্প কল-কারখানা, অবকাঠামো, অফিস প্রভৃতি স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বাংলাদেশে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের পরিবেশ গড়ে উঠেছে। দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কর্মসংস্থানের চাহিদা পূরণসহ জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে প্রকল্প এলাকা বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস হতে রক্ষা পাবে, ভূমিক্ষয় দূরীভূত হবে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধিত হবে, বাণিজ্যিক বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি ঘটবে, সামগ্রিকভাবে প্রকল্প এলাকায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে; যা আঞ্চলিক ও জাতীয় অর্থনীতিতে যুগান্তকারী অবদান রাখবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশের নদী ভাঙন, জলবদ্ধতা নিরসনে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলছে। আর সরকারের পদক্ষেপের কারণেই সারাদেশে নদীভাঙন কমে এসেছে। কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার কারণেই গত ১৪ বছরে সারাদেশে নদী ভাঙনের পরিমাণ এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ সাড়ে নয় হাজার হেক্টর থেকে সাড়ে তিন হাজার হেক্টরে নেমেছে।

এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জুলফিকার তারেক, বেজার যুগ্ম সচিব ও প্রকল্প পরিচালক আবদুল্লাহ আল মোহাম্মদ ফারুক, উপ-সচিব ও উপ প্রকল্প পরিচালক মো: নাজমুল ইসলাম, নৌ বাহিনীর প্রতিনিধি এস. এম নাসিম, চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান খান এবং চায়না হারবর ইন্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার মি. ঝাং হাইলং উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম চট্টগ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বেজা এবং নৌ বাহিনী এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না হারবর ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।

সূত্র : বাসস