চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আলোচনা প্রত্যাখান ‘দুর্ভাগ্যজনক’ : মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আলোচনা প্রত্যাখান ‘দুর্ভাগ্যজনক’ : মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আলোচনা প্রত্যাখান ‘দুর্ভাগ্যজনক’ : মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বৃহস্পতিবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিরক্ষা প্রধানদের মধ্যে বৈঠক প্রত্যাখান করার বেইজিংয়ের সিদ্ধান্ত ‘দুর্ভাগ্যজনক’, বিশেষ করে সাম্প্রতিক ‘উস্কানিমূলক’ চীনা আচরণের প্রেক্ষিতে।খবর এএফপি’র।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা বিমানের কাছে ‘অপ্রয়োজনীয় আগ্রাসনমূলক রণকৌশল’ চালানোর জন্য ওয়াশিংটন বেইজিংকে অভিযুক্ত করার কয়েকদিন পর এমন মন্তব্য করা হলো।ওয়াশিংটন এই সপ্তাহে সিঙ্গাপুরে একটি প্রতিরক্ষা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অস্টিনের সাথে আলোচনার জন্য চীনের জাতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কিন্তু বেইজিং ওই বৈঠকে অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।এই ব্যাপারে এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে জানে কেন বর্তমানে সামরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিয়েছে।’

সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগে এক সংক্ষিপ্ত সফরে টোকিও’তে থাকা অস্টিন চীনের এমন সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেন।অস্টিন বলেন, ‘আপনি আমাকে অনেকবার বৃহৎ ও অনেক ক্ষমতাসম্পন্ন দেশগুলোর গুরুত্বের ব্যাপারে কথা বলতে শুনেছেন, একে অপরকে কথা বলতে সক্ষম হচ্ছেন যাতে আপনি সঙ্কট নিরসন করতে এবং বিষয়গুলো অপ্রয়োজনীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারেন।’

তিনি আরো বলেন, চীন সম্প্রতি আমাদের বিমান এবং মিত্রদের বিমানকে উস্কানিমূলকভাবে বাধা দেয় যা খুবই উদ্বেগজনক ছিল।’‘আমি এমন ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন যেটি খুব দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।’মার্কিন সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার বলেছে, চীনের যুদ্ধবিমানের এক পাইলট গত সপ্তাহে দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর পরিচালিত আমেরিকার একটি গোয়েন্দা বিমানের কাছে ‘অপ্রয়োজনীয়ভাবে আগ্রাসনমূলক রণকৌশল চালায়।

মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রকাশ করা ভিডিও ফুটেজে চীনের একটি যুদ্ধবিমানকে আমেরিকার বিমানের একেবারে সামনে দিয়ে অতিক্রম করতে দেখা যাচ্ছে।তবে চীনের সামরিক বাহিনী বলেছে, মার্কিন বিমানটি সেখানে সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকার রীতি ‘ভঙ্গ করে’।তারা আরো বলেছে, ‘চীনের ওপর নিবিড় নজদারি চালানোর জন্য কোনো জাহাজ ও বিমান পাঠানো চীনের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।’