পৃথক ঘটনায় ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহত

পৃথক ঘটনায় ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহত

পৃথক ঘটনায় ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহত

সড়ক দুর্ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানা যায়, অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন ভোরে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় মেডিকেল চেকআপের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে তার গাড়ি রাজবাড়ীতে একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে তিনি মাথায় ও শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত হন৷ পরে তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়৷ পরবর্তীতে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত আছেন। 

এদিকে, বুধবার সকালে কুষ্টিয়ায় এক এক ব্যাংক কর্মকর্তা কর্তৃক হামলার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বের হলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার উপর হামলা করেন প্রতিবেশি সোহেল মাহমুদ নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা। সকাল পৌঁনে ছয়টায় হাউজিং ডি ব্লক আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী ও তার সহকর্মীদের থেকে জানা যায়, বিল্ডিং করাকে কেন্দ্র করে প্রতিহিংসার জেরে প্রতিবেশি ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগীর সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছে। এর আগেও বিভিন্নভাবে তাকে হেনস্তার চেষ্টা করেছেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা। বিষয়টি ভুক্তভোগী শিক্ষক অগ্রণী ব্যাংক চৌড়হাস ব্রাঞ্চের ম্যানেজারকে জানান। ম্যানেজার ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। 

এতে তিনি আরো বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষকের পিছু লাগেন এবং তাকে আক্রমণ করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। হঠাৎই আজ সকালে হাঁটতে বের হলে পৌঁনে ছয়টায় তাকে একা পেয়ে হাউজিং ডি ব্লক আবাসিক এলাকায় তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল। এসময় তার হাতের আঙুল ভেঙে দিয়ে শরীরে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। এসময় আশেপাশে কেউ না থাকায় পরবর্তীতে বিষয়টি জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করেন তার সহকর্মী ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী। পরে তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

হামলার শিকার অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। 

হামলাকারী ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ বলেন, উনার (মোস্তাফিজুর রহমান) সাথে আমার সর্বশেষ দেখা হয়েছে দশদিন আগে। উনার অভিযোগটা ভিত্তিহীন। এর কোনো অস্তিত্বই নেই।