খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী
সংগৃহীত
দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুই বছরের বেশি সাজা ভোগ করার পর ২০২০ সালের মার্চে করোনা শুরু হলে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। তারপর বিভিন্ন মেয়াদে তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় সরকার। কিন্তু সম্প্রতি নির্বাচনকে সামনে রেখে সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন মহল থেকে ‘ঈদের আগেই খালেদা জিয়া মুক্তি পাচ্ছেন’ বলে প্রচারিত হচ্ছে। যদিও বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রোববার (১১ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি গুজব আমিও শুনেছি। তবে, খালেদা জিয়ার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতার কারণে তার (খালেদা জিয়া) শাস্তি স্থগিত রেখে দুই শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি একটি গুজব শুনেছি যে, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে একটি ফাইল নাকি আইন মন্ত্রণালয়ে চলে এসেছে। অথচ, আমার মন্ত্রণালয়ে এ রকম কোনো ফাইল আসেনি।
আনিসুল হক বলেন, ‘খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ’ তার পরিবার থেকে এমন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত রেখে শর্তসহ তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। সেখানে শর্ত ছিল খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। তবে, এখন যদি খালেদা জিয়া বলেন তিনি সুস্থ, তাহলে তাকে সাজা খাটতে আবার জেলখানায় যেতে হবে। এটাই স্বাভাবিক।
জামায়াত নিষেদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী হিসেবে জামায়াতের বিচার শুরুর জন্য যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে। কিন্তু বিচার না-হওয়া পর্যন্ত আমরা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে পারি না। আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে, শিগগিরই তা মন্ত্রিসভায় উঠবে।
মার্কিন ভিসা নীতির কারণে বাংলাদেশ অপমানিত হয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ভিসা নীতি সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করলে আপত্তি নেই, কিন্তু শুধু একটা দলের জন্য ব্যবহার করলে আপত্তি আছে।