৪২ দিনের মধ্যে ফিরতি টিকিট দিতে এয়ারলাইনসকে নির্দেশ

৪২ দিনের মধ্যে ফিরতি টিকিট দিতে এয়ারলাইনসকে নির্দেশ

ফাইল ছবি

চলতি বছর যারা হজে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে অনেক হজযাত্রীর ফিরতি টিকিট ৫০ থেকে ৫৩ দিন নির্ধারণ করে ইস্যু করা হচ্ছে। এতে অনেক হজযাত্রী বেকায়দায় পড়েছেন। তাদের সুবিধার্থে ফিরতি টিকিট ৩০ থেকে ৪২ দিনের মধ্যে ইস্যু করতে বিমানকে নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

অনেক হজযাত্রী অভিযোগ করছেন, হজ পালনের জন্য কর্মস্থল থেকে তারা সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের ছুটি নিয়েছেন। এখন যদি ৫০ দিনের বেশি সৌদিতে থাকতে হয় তবে কর্মস্থলে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১১ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, হজ প্যাকেজ ২০২৩ এর ৪(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হজযাত্রীদের সৌদি আরবে সর্বনিম্ন ৩০ দিন, তবে ৪২ দিনের বেশি অবস্থান করতে পারবেন না মর্মে উল্লেখ থাকা স্বত্বেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হজযাত্রীদের জন্য বিমান টিকিটের মেয়াদ ৫০-৫৩ দিন নির্ধারণ করে টিকিট ইস্যু করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে অসচ্ছল, অসুস্থ এবং চাকরিরত হজযাত্রীদের ছুটির অনুমতি নেওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এ ধরনের টিকিট পাওয়া হজযাত্রীরা মক্কা হজ অফিসে এসে তাদের টিকিট পরিবর্তনের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছেন। তাই সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে হজযাত্রীদের জন্য ইস্যু করা বিমান টিকিটের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৪২ দিন নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

এই অবস্থায়, যেসব হজযাত্রীর হজ শেষে ফেরত আসার টিকিটের মেয়াদ ৪২ দিনের বেশি নির্ধারণ করে টিকিট ইস্যু করা হয়েছে, সেসব হজযাত্রীর বিমান টিকিটের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৪২ দিন নির্ধারণক্রমে ফেরত আসার টিকিট ইস্যু করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফিরতি ফ্লাইটের শিডিউল মেলাতে গিয়ে কিছুযাত্রীর ফিরতি টিকিট এদিক-ওদিক হচ্ছে। এটার ব্যাপারে আমরা কনসার্ন (অবগত)। চেষ্টা করছি সমন্বয় করার।  

জানতে চাইলে হজ অফিস (আশকোনা) পরিচালক সাইফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই বিষয় নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা এটি সমন্বয় করে দেবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে।

এর আগে গত ১৪ মে হজে যাওয়ার জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন‌ এমন চাকরিজীবীদের ৪৫ দিন ছুটি মঞ্জুর করতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। একজন হজযাত্রীর হজের জন্য ৪২-৪৫ দিন পর্যন্ত ছুটির প্রয়োজন হয়। সে কারণে চাকরিজীবী কোনো হজযাত্রীকে এর চেয়ে কম সময় ছুটি দিলে বিমানের টিকিট ব্যবস্থাপনায় জটিলতা সৃষ্টি হবে এবং এতে হজযাত্রীও সমস্যার সম্মুখীন হবেন।