একটি আমের ওজন পাঁচ কেজি!

একটি আমের ওজন পাঁচ কেজি!

একটি আমের ওজন পাঁচ কেজি!

সবুজ পাতার মাঝে তিন থেকে পাঁচ কেজি ওজনের এরকম বড় বড় আম ঝুলে আছে যশোর শহরতলীর খয়েরতলা হর্টিকালচার সেন্টারের একটি আম গাছে। আমের নাম ব্রুনাই কিং। কেউ কেউ এটিকে বালিশ আম নামও দিয়েছেন।চার বছর আগে হর্টিকালচার সেন্টারে পরীক্ষামূলকভাবে রোপন করা একটি আম গাছে এখন শোভা পাচ্ছে বৃহৎ আকৃতির এই আম। আমগুলো আকার-আকৃতিতে যেমন বড় তেমনি খেতেও সুস্বাদু।

ব্রুনাইয়ের রাজকীয় বাগানের বিশেষ জাতের এই আমটি দেশে এসেছে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার শতখালী গ্রামের নার্সারি ব্যবসায়ী, রবিউল ইসলামের ভাগনের হাত ধরে। রবিউল ইসলামের নার্সারিতে এই আমের আটি দিয়ে চারা তৈরি করেন। সেখান থেকে চার বছর আগে চারা সংগ্রহ করেন যশোর হর্টিকালচার সেন্টার কর্তৃপক্ষ। রোপনের পর এ বছর প্রথম আম এসেছে গাছে। দেশের সবচেয়ে বৃহৎ আকারের আম দেখতে মানুষ ছুটে আসছেন বলে জানালেন হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীপঙ্কর দাস।

এতদিন পরিচর্যাগত কারণে ফল না এলেও এ বছর গাছটিতে প্রায় ৩৫টি আম ধরেছে। অন্যান্য আমের মতোই একই সময়ে এই গাছের মুকুল আসে। তবে পাকে অনেক দেরিতে এবং স্বাদে ফজলি আমের মতো। চাষি পর্যায়ে এই আম প্রসারে কলম তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে।

চাষি পর্যায়ে ব্রুনাই কিং জাতের আম প্রসারে কলম তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে শৌখিন আমচাষিরা এ গাছ রোপণ করতে পারেন। তবে বাণিজ্যিকভাবে রোপণের আগে পরীক্ষামূলকভাবে রোপণের পরামর্শ কৃষিবিদদের।যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে পালবাড়ি মোড় সংলগ্ন খয়েরতলায় অবস্থিত ১৫.২৯ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হর্টিকালচার সেন্টারটিতে নানা জাতের ফুল-ফল, ভেষজ ও ওষুধি গাছ পরিচর্যা করা হচ্ছে।