অনলাইন থেকে মানহানিকর তথ্য সরাতে কাজী সালাউদ্দিনের রিট

অনলাইন থেকে মানহানিকর তথ্য সরাতে কাজী সালাউদ্দিনের রিট

অনলাইন থেকে মানহানিকর তথ্য সরাতে কাজী সালাউদ্দিনের রিট

বাংলাদেশ ফুটবলে সবচেয়ে আলোচিত নাম বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল এবং সমালোচনায় সবসময়ই চর্চায় থাকেন তিনি। সালাউদ্দিনকে নিয়ে পাবলিক ডোমেইনে অনেক ‘ভুয়া ও মানহানিকর’ তথ্যও রয়েছে বলে দাবি তার আইনজীবী সাইফুল্লাহ মামুনের। তথ্যগুলো অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ কাজী সালাউদ্দিনের আইনজীবী মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত ১২ই জুন, রোজ সোমবার রিটটি দায়ের করা হয়েছে। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটির ওপর শুনানি হতে পারে।’

আবেদনে কাজী সালাউদ্দিনের মৌলিক অধিকার হিসেবে মর্যাদা ও গোপনীয়তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনকে (বিটিআরসি) কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না এবং তার (সালাউদ্দিন) বিরুদ্ধে মানহানিকর ও যেকোনো ভুয়া তথ্য  তৈরি এবং প্রচার থেকে বিরত রাখতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।

একইসঙ্গে ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং পলিসি-২০১৪ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিতে আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতেও রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে। এই রুল বিবেচনাধীন থাকাবস্থায় পাবলিক ডোমেইনে থাকা কাজী সালাউদ্দিনেকে নিয়ে মানহানিকর ও ভুয়া তথ্য অপসারণ করতে স্বরাষ্ট্রসচিব ও বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে কাজী সালাউদ্দিনের বিষয়ে মানহানিকর ও ভুয়া তথ্য প্রচারে বিরত থাকতে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।

রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন; একাত্তর টিভি; একাত্তর টিভির স্পোর্টস ইনচার্জ এহসান মাহমুদ; যুগান্তরের সিনিয়র স্পোর্টস জার্নালিস্ট মোজাম্মেল হক চঞ্চল; গ্লোবাল স্পোর্টসের সমন্বয়ক শাকিল মাহমুদ চৌধুরী; নীলফামারী জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরিফ হোসেন মুন; একাত্তর টিভির স্পোর্টস জার্নালিস্ট মেহেদী নাইম, পার্থ বণিক, মাহমুদুল হাসান সজিব, অর্ণব বাপ্পী, এহতেশাম সবুজ, মেহেদী হাসান, ফাহিম হাসান, রিয়াসাদ আজিম, কহিনুর কনা; সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে বিবাদী করা হয়েছে।