কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে বিসিকের ৮ সিদ্ধান্ত

কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে বিসিকের ৮ সিদ্ধান্ত

ফাইল ছবি

আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়া স্থানীয় পর্যায়ে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য নিরবচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে আটটি কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) ভার্চুয়ালি আয়োজিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিসিকের প্রকৌশল ও প্রকল্প বাস্তবায়ন বিভাগের পরিচালক মো আবদুল মতিন, সম্প্রসারণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক অখিল রঞ্জন তরফদার ও লবণ সেল প্রধান সরোয়ার হোসেনসহ আরও অনেকে।

সভায় গৃহীত আট কর্মপরিকল্পনা হলো-

১-আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য উপজেলা ও জেলাভিত্তিক লবণের চাহিদা নিরূপণ।

২-জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের লবণের ডিলার/পাইকারি লবণ বিক্রেতাদের তালিকা হালনাগাদসহ লবণ মজুত সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ।

৩-জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য লবণের চাহিদা অনুযায়ী মজুত নিশ্চিতকরণ।

৪-চালু লবণ মিলের তালিকা ডিলার/পাইকারি লবণ বিক্রেতাদের কাছে পাঠানো ও হালনাগাদকৃত ডিলার/পাইকারি লবণ বিক্রেতাদের তালিকা স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণকারীদের কাছে সরবরাহ।

৫-বিসিক আঞ্চলিক ও জেলা কার্যালয়গুলোতে মনিটরিং টিম গঠন।

৬-জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে লবণ ও চামড়া সংক্রান্ত সভা আয়োজন।

৭-চামড়া সংরক্ষণ পদ্ধতি বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচার প্রচারণা।

৮-নিয়মিতভাবে লবণ ও চামড়া সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রণয়ন এবং আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে বিসিক প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো। 

এবছর চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য প্রাথমিকভাবে লবণের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ মেট্রিক টন। মাঠ পর্যায় থেকে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যার প্রকৃত তথ্য পাওয়া গেলে প্রকৃত লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে বিসিককে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করবে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়।