গাইবান্ধায় হঠাৎ ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

গাইবান্ধায় হঠাৎ ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

সংগৃহীত

গাইবান্ধায় হঠাৎ ঝড়ো বাতাসে ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো লণ্ডভণ্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই সাথে উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পুরো শহর বিদ্যুৎ বিচ্ছন্ন হয়ে যায়। উপজেলার রাত ৯টার পর দু-এক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ হওয়ার চালু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।


এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে হঠাৎ পুরো আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। এরপর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শুরু হয় প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি। এ ঝড় প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা স্থায়ী ছিল। এতে শতাধিক কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, আমসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলেরও ব্যাপক ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। প্রবল বেগের বাতাসে অনেক ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিনের চাল উড়ে গেছে। এছাড়া প্রবল ঝড়বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের খুঁটি মাটিতে পড়ে গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝড় বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের বেশ কয়েকটি টিকিট কাউন্টার।

শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার বাবুল মিয়া জানান, বিকেলে শুরু হওয়া হঠাৎ ঝড়ে আমাদের কাউন্টারসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি কাউন্টারের টিনের চাল উড়ে গেছে। এ সময় কাউন্টারে বেশ কয়েকজন অপেক্ষমান যাত্রী থাকলেও কারো কোনো ক্ষতি হয়নি বলে তিনি জানান।

আলহামরা পরিবহনের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্ব থাকা আবদুস সালাম আজাদ বলেন, ঝড়ে কাউন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অপেক্ষমান যাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছে।

এদিকে ঝড়ের পর থেকে বিদুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের। গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল কুদ্দুস জানান, ঝড়ে বিদ্যুতের তারের ওপর গাছের ডাল পড়ায় বিকেল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তারের ওপর থেকে গাছ ও ডালপালা সরানোর কাজ করছে আমাদের লোকজন। আশা করছি দ্রুত লাইন চালু করা যাবে।

গাইবান্ধা পৌর সভার নোসকো-২ নিবাহী প্রকৌশলী আসিফ বলেন, ঝড় বৃষ্টির কারণে শহরে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি মাটি হেলে পড়ছে, অসংখ্যা জায়গায় সংযোগ তার ছিঁড়ে গেছে। এগুলো নিয়ে মাঠে কাজ চলছে। কাজ শেষ হলেই সংযোগ চালু করা হবে।

কেমন সময় লাগতে পারে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, এ মূহুর্তে বলা সম্ভব নয়, তবে সম্পূর্ণ করতে আরো অনেক সময় লাগবে।

গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ঝড় বৃষ্টিতে উপজেলার বেশ কিছু জায়গার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের সরেজমিন পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে বলা হয়েছে।